🐠প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই প্রায় বাতিল। কার্যত একেবারে দিশেহারা অবস্থা। এর দায় কার? এসএসসি ও রাজ্য় সরকার কেন সতর্ক হয়নি? কেন এত অযোগ্য় চলে গেল শিক্ষকদের তালিকায়? যোগ্য় হওয়া সত্ত্বেও যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা এবার কী করবেন?
এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সব মিলিয়ে ২৫,৭৫২জনের চাকরি গিয়েছে।
🅠শিক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্য়মে বলেন, এসএসসির দেওয়া তথ্য ও পরিসংখ্য়ানের ভিত্তিতেই তো বলা হচ্ছে। তাহলে আপনারা কেন বলছেন যোগ্য় ও অযোগ্য এসএসসি ভাগ করতে পারেনি তা নয়। হয়তো বলতে পারেন কোর্ট তাতে সন্তুষ্ট হচ্ছে না। যোগ্য আর অযোগ্যর একটা ভাগাভাগির প্রধান বিচারপতির রায়ের পরে আমরা বুঝতে পারছি। যারা যোগ্য ও বঞ্চিত তাদের প্রতি যাতে একটা একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তার আবেদনও করছি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বঞ্চিত ও যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য় সরকার।
🎉সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন এসএসসি যা জানানোর তা জানিয়েছে।
🍒এদিকে সব মিলিয়ে একেবারে দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারাদের। কীভাবে কী করবেন তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। বিকাশ ভবন অভিযানে নেমেছে শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি এই অভিযানে নেমেছে। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এই সংগঠন।
☂চাকরি বাতিলের দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযানে নেমেছে শিক্ষকদের সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি মুখ্য়মন্ত্রীকে এর দায় নিতে হবে।
ꦅএদিকে চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের কার্যত একেবারে দিশেহারা অবস্থা। একদিকে আগামী দিনে কী হবে তা ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তার উপর সামাজিকভাবে সম্মান নষ্ট হয়েছে অনেকের। পাড়াতে, আত্মীয়স্বজনদের সামনে কোণঠাসা অবস্থা।
🌊বহু শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় পাশ করেছিলেন। দীর্ঘ পরিশ্রম করে তাঁরা শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। এরপর সংসার করেছেন। বাড়িতে কারোর বৃদ্ধ বাবা মা, কারোর রয়েছে সন্তান। এর উপর রয়েছে ব্যাঙ্ক লোনের ইএমআই, রোজকার সংসার খরচ। কীভাবে সামাল দেবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তার উপর পাড়ায়, গ্রামে, শহরে শিক্ষক হিসাবে যে সম্মান ছিল তা রাতারাতি একেবারে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। কীভাবে সেই সম্মান ফিরে পাবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না। তবে শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য় জানিয়েছেন যোগ্য ও বঞ্চিতদের পাশে থাকবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন।