একুশের নির্বাচন মিটে গিয়ে সরকার গঠন হয়ে গিয়েছে। এবার একসঙ্গে এই রাজ্যের ৬১ জন বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এই খবর মিলেছে। আজ পর্যন্ত বাংলায় বিজেপির ৭১ জন বিধায়ক আছেন। কাল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে তা কমে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ৬১ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেওন না। শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রথমসারির ১০ জন বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন। সূত্রের খবর, এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এবার রাজ্য সরকারই যেন এই বিধায়কদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে।
একুশের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বঙ্গ–বিজেপির সব বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেꦏছিল। শুভেন্দু অধিকারী–সহ কয়েকজন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতেন। নির্বাচনের পর মোট ৬৬ জন জয়ী বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানে বেশি নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন। সুতরাং রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কেন্দ্র♔ীয় নিরাপত্তায় কোপ দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহু নেতা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপ𝔉িতে। প্রাণহানির আশঙ্কার কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও আদায় করেছি🌼লেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া অনেক বিজেপি নেতাই নিজের কেন্দ্রে হেরেছেন। তাই এই ধরনের বহু নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সরে গিয়েছে। এখন জয়ী বিধায়কদেরও নিরাপত্তা বাতিল হল।
তবে এখন জয়ী বিধায়কদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য সরকারের উপর। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া বা প্রত্যাহার করার সময় রাজ্যকে জানাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেটা জানানো হয়েছে বলেই খবর। সဣূত্রের খবর, নিয়ম অনুসরণ করেই ৬১ জন বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নবান্নকে জানিয়ে দিয়েছ🧸ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এখন বল রাজ্য সরকারের কোর্টে।