দিনকয়েক আগেই 'অনুত্তীর্ণ' হয়েছিলেন। সাতদিনের কাটতে না কাটতেই তাঁরা পাস করে গেলেন। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে যে স্কুলগুলিকে সংশোধিত মার্কশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের সব ‘অনুত্তীর্ণ’ পড়ুয়ারাই পাশ করে গিয়েছেন। তার জেরে স্বভাবতই সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার রাজ্যের ৩,৬২০ টি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভও হয়েছে। সূত্রের খবর, তারইমধ্যে কয়েকটি স্কুল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংসদে ডাকা হয়। তাঁদের হাতে ‘অনুত্তীর্ণ’ পড়ুয়াদের মার্কশিট তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই স্কুলগুলির দাবি, সংশোধিত রেজাল্টে সকলেই পাশ করে গিয়েছেন। কেউ ‘ফেল’ নেই আর।সেই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাংশের প্রশ্ন, কীভাবে তাহলে সংসদ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করেছিল, যেখানে এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই মার্কশিট পালটে ফেলতে হল? অপর অংশের প্রশ্ন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তাহলে তার চাপেই কি পিছু হটেছে সংসদ? যদিও বিষয়টি নিয়ে সংসদের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা কোথাও ভাঙুচর চালিয়েছেন, কোথাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কোথাও ঘেরাও করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষার ফল নিয়ে এত বিক্ষোভ হচ্ছে কেন, তা নিয়ে সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করা হয়েছিল। গত শনিবারের সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। যে পড়ুয়ারা পাশ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সংসদ সভাপতিকে আর্জি জানান তাঁরা। নবান্ন সূত্রে খবর, যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা প্রশমনের জন্য সংসদকেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারপর ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার কথাও বলেছে সংসদ।