এবারের ২১শে সমাবেশের মঞ্চ থেকেও উত্তরবঙ্গের লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রসঙ্গ তুললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী ম💞মতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রীতিমতো আক্ষেপ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতা বলেন, 'উত্তরবঙ্গে আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আমি আশা করি আগামীদিনে উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের সমর্থন দেবেন। ‘আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ মালদা থেকে শুরু করে। আমরা মালদা পার্লামেন্টারি ভোটে জিতেনি। জানি না কেন ভুল বুঝলেন। হয়তো আমাদেরই দুর্ভাগ্য। একটা সিট কংগ্রেসকে, একটি সিট বিজেপি। ওরা কিছু করেছে আপনাদের জন্য। কিন্তু তবুও ভুল বুঝিনি আমি। আমি মনে করি মালদার আম, আমসত্ত্ব ২০২৬এ আমরা পাবইཧ। এই বিশ্বাস আমার আছে।’ বললেন মমতা।
তবে তিনি ꦯধন্যব𒈔াদ জানাতে গিয়ে একবারও দার্জিলিংয়ের কথা উল্লেখ করেননি। দার্জিলিং সিট বরাবরই বিজেপি পায়। মূলত তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দার্জিলিং আসন বিজেপির দখলে। তবে এবার আশার কথা কোচবিহার আসনে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। এই আসনটি এবার ছিল তৃণমূলের কাছে কঠিন লড়াই। সেই লড়াইতে জিতে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। তবে সেই সঙ্গেই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিজেপি।
তবে সেই জেলার মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা। কিন্তু সমাবဣেশে এত ভিড়ের মাঝেও, এত সাফল্যের মাঝে উত্তরবঙ্গ আজও তৃণমূলের কাছে গলার কাঁটা। অস্বস্তির কাঁটা। এদিন সমাবেশেও সেই বিষয়টিই বার বার সামনে এসেছে।
তবে সেই সঙ্গেই মালদার প্রসঙ্গ একাধিকবার উল্লেখ করেছেন মমতা। একসময়ের কংগ্রেসের গড় ছিল মালদা। সেই সময় মালদায় বার বার জয়ী হত কংগ্রেস। তবে এবারও সেখানে কংগ্রেসের একমাত্র প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। গনি খানের আবেগে ভর দিয়ে গড় রক্ষা করেছেন তিনি। এবারও মালদায় ভালো ফল করতে 🍌পারেনি ত൲ৃণমূল।
তবে সামনেই আস💯ছে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৬ সালের ভোটে তৃণমূলের কাছে পাখ🀅ির চোখ উত্তরবঙ্গ। কারণ বাংলার অন্যান্য প্রান্তে তৃণমূলের শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কেবলমাত্র উত্তরবঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খেতে হচ্ছে তৃণমূলকে। সেখানে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি কিছু কমজোরি রয়েছে এমনটা নয়। কিন্তু তারপরেও ধাক্কা খেতে হচ্ছে তৃণমূলকে। এবারও উত্তরবঙ্গে পতপত করে উড়ছে বিজেপির পতাকা।