শহরে বেআইনি পার্কিংয়ের ফলে দেখা দিচ্ছে যানজট। কখনও ব্যস্ত সময় থমকে যাচ্ছে গাড়ি অথবা স্কুলের সময় থমকে যাচ্ছে স্কুলের গাড়ি। বেআইনি পার্কিং রুখতে নগদহীন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে পুরসভা। তারপরেও যত্রতত্র চলছে বেআইনি পার্কিং। এরপরে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বেআইনি পার্কিং রুখতে সপ্তাহ খানেক আগেই পরীক্ষামূলকভাবে নগদহীন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। এই ব্যবস্থা চালু করার সময় কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, এর ফলে বেআইনি পার্কিং কমবে, এমনকী পার্কিং ফি বাবদ বেশি টাকা আদায়ের আশঙ্কাও কমবে। কিন্তু, তারপরেও বেআইনি পার্কিং কমার নাম নেই। গত এক সপ্তাহে লালবাজারে কেসের সংখ্যা দেখল൲ে তার প্রমাণ মেলে।
লালবাজারের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ দিনে বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য মামলা র𒈔ুজু হয়েছে ১৯৭৩টি। শুধুমাত্র বিপজ্জনকভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৪৭৩টি মামলা রুজু করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। সব মিলিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার মামলার সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বেআইনি পার্কিংয়ের মামলা। যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি পার্কিংয়ে মামলা সব থেকে বেশি হয়েছে হাওড়া সেতু এবং উল্টোডাঙ্গা ট্রাফিক গার্ডে। এই ট্রাফিক গার্ডগুলিতে যথাক্রমে ২৩৮টি এবং ১৯৮টি মামলা বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য রুজু হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ট্রাফিক গার্ডগুলির মধ্যে রয়েছে শিয়ালদা, ঠাকুরপুকুর প্রভৃতি ট্রফিক গার্ড। অনেক ক্ষেত্রেই ❀বেআইনি পার্কিং পুলিশের মদতেই চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু স্কুলের বাইরে এবং ব্যস্ত রাস্তাতেও এভাবে বেআইনি পার্কিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার অনেক জায়গাতেই রাতের বেলায় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করা হয় ꦛবলে অভিযোগ। এমন অভিযোগ তুলেছেন মানিকতলার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, সেখানে দিনের বেলায় পুলিশের নজরদারি থাকে কিন্তু রাতের বেলায় পুলিশের নজরদারি না থাকায় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করা হয়। সে ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হয় না।