যাদ🔯বপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পর নানা তথ্য সামনে আসছে। র্যাগিং করে তাঁকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এখন হস্টেলে নিরাপত্তার প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তার জন্য ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। আগামী সপ্তাহেই ক্যাম্পাসের অন্তত ১০টি পয়েন্টে প্রাক্তন সেনা অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে সিসিটিভি বসানো এবং প্রাক্তন সেনাকর্তাদের দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাজ চলছে।
এদিকে সেনার পোশাক পরে ঢুকে পড়েছিল একদল যুবক–যুবতী। সুতরাং নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আর তা করতে ৩৭ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। বরাত পেয়েছে ওয়েবেল। এত টাকা জোগাড় করতে গিয়ে এখন হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ এখন প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়🍸। এই অবস্থায় সিসিটিভি বসানোর জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজভবনের কাছেও আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।
অন্যদিকে ওয়েবেলকে কাজ দিতে ছাড়পত্রে সই করেছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, আগামী সপ্তাহেই ক্যাম্পাসে প্রাক্তন সেনাকর্তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন। আবার এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেদার মদের বোতল মিলেছে। তা দেখে মনে হচ্ছে এটা কার্যত পানশালা। এখান থেকে র্যাগিং হটাতে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। শুক্রবার মালদা যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তারপরই ওয়েবেলের ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার ক্যাম্পাস ও হস্টেল পরিদর্শন করেছেন। মোট তিন রকমের ক্যামেরা বসানো হবে। এআই–এর মাধ্যমে চড়া আলো থেকে শুরু করে অল্প আলো, ঝড়, বৃষ্টি, কুয়াশা এবং নিশুতಞি রাতের পরিষ্কার কালার ছবি তুলতে সক্ষম ক্যামেরাগুলি।
আরও পড়ুন: সোনাগাছির দুর্গাপু🔯জোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর কে? জানলে চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই
এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়🌜ে টবে গাঁজার চাষ করার অভিযোগও উঠেছে। সুতরাং সব বিষয় কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মোট ৬০টি দিনে সিসিটিভি বসানোর কাজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ টানা দু’মাস সময় লাগবে। কিন্তু এই টাকা কোথা থেকে আসবে? তা বুঝতে পারছেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। টাকার অভাব বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম। রাজ্য সরকারের ফান্ড ছাড়া এখন সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থসাহায্য বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একটা জরুরি অবস্থা চলছে। তার ফলে বছরের মাঝপথে এই ফান্ড আমাদের তহবিল থেকে বের করা খুব কঠিন ব্যাপার। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব।’