‘মাস্টারমশাই, আপনি কিছুই দেখেননি’, তপন সিনহার ‘আতঙ্ক’ ছবির সেই সংলাপ যেন শোনা যাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর। উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। তার জেরে যাদবপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই বিশ্ববিদ্যা🌜লয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। স্বপ্নদ্বীপের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। স্বপ্নদ্বীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর লিখিত অভিযোগে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে এই প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর। তবে এবার পুলিশ সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কড়া ধারা প্রয়োগ করল বলে খবর।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় হুমকি🦄র সুরে জুনিয়রদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। ভাই, তুই কিন্তু কিছু দেখিসনি’, ‘বোবার কিন্তু শত্রু নেই’, এমনই সব হুইপ জারি করেছে সিনিয়র ছাত্ররা। আর তাতে বেশ ভীত হয়ে পড়েছে জুনিয়র ছাত্রছাত্রীরা। যে যার মতো করে এসব বোঝাচ্ছেন। আর তাতেই সিনেমার ওই সংলাপ মনে পড়ে যাচ্ছে সবার। স্বপ্নদ্বীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানান, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই ছাত্র সৌরভ চৌধুরী (প্রাক্তন) ও মনোতোষ মণ্ডলের (সোশিওলজি, দ্বিতীয় বর্ষ) মাধ্যমে আমার ছেলে হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘর পায়। ঘরটি তিন তলায়। ৬ অগস্ট থেকে ছেলে সেখানে থাকা শুরু করে।’
পুলিশের ভূমিকা 🎶ঠিক কী? অন্যদিকে যাদবপুর থানার পুলিশ প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ৩০২ ধারা যুক্ত করেছে। অর্থাৎ খুনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে পুলিশের এফআইআরে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘আমরা এবার এফআইআরে ৩০২ ধারা (খুন) এবং ৩৪ নম্বর ধারা (কমন ইন্টেনশন) যুক্ত করেছি। যে এফআইআর নিহত ছাত্রের বাবা করেছিলেন সেটাতেই এই ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। কিছু প্রাক্তনী এবং এখনকার পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। নিহত ছাত্রের পরিবার একজন প্রাক্তন ছাত্রের নামে অভিযোগ করেছে। যে হস্টেলে থাকত।’
আরও পড়ুন: এবার💃 নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সামনে এল, খাস কলকাতায় তো♛লপাড় কাণ্ড
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর র্যাগিং নিয়ে তদন্তকারী কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়েছে, হস্টেল সুপার অভিযোগ পেয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? কীভাবে বহিরাগতরা হস্টেলে ছিলেন? ঘটনার দিন কোনও সিনিয়র হস্টেল ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে? ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল অ্যান্টি র্যাগিং সেল খোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে ডেকে পাঠান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের। সেখানে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও। সেখানে তিনি রবীন্দ্রভারতী ব🍃িশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে প্রধান করে একটি অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তাতে কি প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়বে? উঠছে প্রশ্ন।