যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পিএইচডি ছাত্রীকে জাত তুলে অপমানের অভিযোগ উঠেছিল সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় সোমবার একটি বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসসি-এসটি-ওবিসি সেল। অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তার ভিত্তিতে ওই সেল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সুপারি✨শ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ছাত্রীর অভিযোগ, তিনি ওবিসি হওয়ার কারণে তাঁকে এমফিল প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে দে🍸ননি ওই অধ্যাপক। এরপরেই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যে ওই অধ্যাপককে বদলে দেওয়া হোক। কারণ ওই অধ্যাপকের অধীনে তাঁর গবেষণা এগোচ্ছে না। এরপরেই পিএইচডি গবেষণা কমিটি (পিআরসি), যার সদস্যদের ম﷽ধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রয়েছে ওই ছাত্রীর আবেদন নিয়ে আলোচনা বৈঠক করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ইমান কল্যাণ লাহিড়ী পরে এবিষয়ে উপাচার্যকে একটি চিঠি পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওই পিএইচডি ছাত্রীকে জাত তুলে অপমান করা হয়েছিল। এরপরেই অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপকের কাছে জবাব চেয়ে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, তদন্ত শেষ না পর্যন্ত ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হতে পারে।♋ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তবে সহকারী উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ উল্লেখ্য, ছাত্রী ১৯ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ꦜআমি ওবিসি বিভাগের অন্তর্গত৷ তবে আমি সাধারণ বিভাগের অধীনে আমার পিএইচডি করছি।’