গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও শাস্তি পায়নি অপরাধী। বর্তমানে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে শিয়ালদা আদালতে। এবার এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইকে স্মারকলিপি জমা দিল জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এদিন স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের হুশিয়ারি, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে🍎 সাজা ঘোষণা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল তারা সিবিআইয়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১.২০ টা নাগাদ সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছন সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরের ঢোকার আগেই সিজিও ভবনের মূল প্রবেশদ্বার প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী কর্মীরা। পরে তাঁরা বাহিনীর অনুমত🎀ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে, ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ কর🥃তে হবে সিবিআই আধিকারিকদের। তাতে একাধিক দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের মতো বর্বরোচিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট জমা করতে হবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এদিন প্রতিদিন দলের একজন তথা জুনিয়র ডাক্তার শিরিষ চক্রবর্তী বলেন, ’আরজি করের ঘটনার ৫ দিন পর তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই। ৯০ দিনের বেশি দিন ধরে তারা তদন্ত করছে । আর এই ঘটনা ১০০ অতিক্রান্ত হল। ঘটনায় প্রাথমিক চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রাইয়ের নাম রয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে আরও কোন বিষয়ে প্রকাশ্যে আসলে সেটা নিয়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে। তবে সেটা সিবিআই এখনও দেয়নি। তাই আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিবিআই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিক। যাতে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা যায়। দেশের সবচেয়ে বড় আইনজীবীদের নিয়ে লড়তে হবে এবং যে বা যারা দোষী তারা যেন কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি পায়।’ তিনি জানান, আগামীকাল এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ডেপুলেশন দেওয়া হবে। আর ২৬ জানুয়ারির মধ্যে বিচার না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন ꦜতারা।