হাজিরায় এবার কড়াকড়ি করল কলকাতা পুরসভা। এখানের সমস্ত বিভাগের কর্মীরা এখন ঘড়ি ধরে অফিসে ঢুক🦂তে শুরু করেছেন। এই ছবিটা দেখে অনেকে আঁতকে উঠছেন। কারণ আগে তো এমন ছবি দেখা যেত না। তাহলে কী এমন ঘটল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আগেই ঘোষণা করেছিলেন, পুরসভার ক♑র্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। আর তাই সমস্ত দফতরেই বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু হবে। মেয়রের সেই নির্দেশ এবার কার্যকর হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রায় ১২ হাজার কর্মীর বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হয়েছে। বাকিদের ধাপে ধাপে হয়ে যাবে। এখন থেকে নতুন পদ্ধতি চালু হল কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে।
এদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় বায়োমেট্রিক মেশিন বসে গিয়েছে। মেয়র’স বিল্ডিং, হগ বিল্ডিং, রক্সি বিল্ডিং, হাডকো ব🍌িল্ডিং, নগর পরিকল্পনা উন্নয়ন বিভাগ–সহ একাধিক বিভাগে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করতে ৩৫টি যন্ত্র বসেছে। এবার কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে আড়াই হাজার কর্মীর জন𒐪্য এই পদ্ধতি চালু করা হল। এই ‘অনলাইন হাজিরা’ ব্যবস্থা চালু হতেই ঘড়ি ধরে সকলে অফিসে আসতে শুরু করেছেন। আসলে এই পদ্ধতি অবলম্বন না করলে বেতন কাটা পর্যন্ত যেতে পারে। আর যাবতীয় তথ্য সল্টলেকের ওয়েবেল ভবনে সংরক্ষিত থাকছে। সুতরাং চালাকি করা যাবে না।
অন্যদিকে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকেই কর্মীদের ঠিক সময়ে দফতরে ঢোকার প্রবণতা বেড়েছে। পুরনো পদ্ধতি তাঁরা বাতিল করে এখন সঠিক🤡 সময়ে আসছেন। এটা অনেকের পছন্দ নয়। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে মেনে নিতে হচ্ছে। হাফ ডে করে চলে যাওয়া, না এসেও এসেছি প্রমাণ করা, সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করা— সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মীরা এখন নির্দিষ্ট সময়ে দফতরে ঢুকছেন এবং বিকেল ৫টার পরে সেখান থেকে বেরোচ্ছেন। এই দেখে ১৬টি বরো অফিসে ধাপে ধাপে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ছ’মাসের মধ্যেই সব বরো অফিসে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে গালাগালি করতেই পারেন, বাংলাকে বদনাম করবেন না’💦, এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন൲ মমতা
আগে খাতায়কলমে হাজিরা পদ্ধতি ছিল। তাতে অনেক কর্মীই ‘ফাঁকি’ দিয়ে বাড়তি সুবিধা ভোগ করতেন বলে অভিযোগ। আবার অনেকে দেরিতে অফিসে ঢুকে সময়ে বেরিয়ে যেতেন। এমনকী ছুটি হওয়ার আগেই অনেকে বাড়ি চলে যেতেন। এমন প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় সেই সুযোগ কমে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে কর্মীদের দফতরে ঢুকতে হবে। আর সপ্তাহে তিন দিন যদি ১০টা ৪৫ থেকে ১১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে কোনও কর্মী অফিসে ঢোকেন তাহলে একটি ছুটি কাটা যাবে। সুতরাং আসি যাই, মাইনে পাই নিয়ম যে চলবে না সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে🤡।