কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে শহরে এবার শুরু হচ্ছে ‘রেয়ার ডিজিজ ক্লিনিক’। এখানে সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার কয়েকজন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১০টি স💟্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে এই পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা। 🎃জিনগত কারণে নতুন প্রজন্মের শিশুদের অনেকেরই নানা বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ওই রোগের চিকিৎসার এমন পরিষেবা দেওয়া এবং পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, রেয়ার ডিজিজ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে একবছর আগে একটি মউ চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রেয়ার ডিজিজের অর্থ যা প্রতি ১০ লাখের মধ্যে একজনের হয়। এই নিয়ে অনলাইনে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে আশা স্বাস্থ্যকর্মী এবং কলকাতা পুরসভা হেলথ অফিসারদের। আর তাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘কলকাতা পুরসভা জেনেটিক কাউন্সিল🦂র দীপাঞ্জনা দত্তের সঙ্গে চুকജ্তি করছে। কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন তিনি। কেমন করে এই ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিহ্নিত করা যায় দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ।’
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংক্রান্ত বিল আসছে বিধানসভায়, কী আছে তাতে? জানতে চাইল শাহের মন্ত্রক
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই রেয়ার ডিজিজ ক্লিনিক শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই হবে। আর এই বিষয়ে অনলাইনে ট্রেনিং দেওয়ার পাশাপাশি সহজ বাংলা ভাষায় রেয়ার ডিজিজের নাম ও লক্ষণ পর্যন্ত শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি তালিকাও বাংলা ভাষায় ছাপানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চার মায়েদের সঙ্গে কথা বলবেন আশা কর্মীরা। আর তাঁদের মধ্যে কারও কোনও সমস্যা দেখা দিলে কলকাতা পুরসভা রেয়ার ডিজিজ ক্লিনিকে আসতে বলা হবে। জিনগত অসুখে আক্রান্ত শিশুদের জন্য জেনেটিক কাউন্সেলিং শুরু করছে কলকাতা পুরসভা। জিনগত মিউটেশনের কারণে মায়ের জঠরেও বিরল রোগে আক্রান্ত হতে পারে ভ্রুণ। তখনও পরিবারের পাশে থেকে সুপরামর্শ দেবে কলকাতা পুরসভ𒁃া।