কসবার ভুয়ো ক্যাম্পে কোভিশিল্ডের পরিবর্তে কী দেওয়া হয়েছিল? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারইমধ্যে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হল, কসবার ওই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে য়াঁরা 'টিকা' নিয়েছিলেন, তাঁদের টিকাকরণের দায়িত্ব নেবে পুরনিগম। কবে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।শুক্রবার পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোভিশিল্ড হিসেবে যা দেওয়া হচ্ছিল, তা আদতে টিকা নয়। সম্ভবত কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের মিশ্রণ হবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত যাঁরা ওই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কয়েকজনের গায়ে ফুসকুড়ির মতো বেরিয়েছে। বাকিরা মোটের উপর সুস্থ আছেন। তবে তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে পড়ে গিয়েছেন। অতীন আশ্বাস দেন, যাঁরা ওই ক্যাম্প থেকে 'টিকা' নিয়েছিলেন, তাঁদের টিকাকরণের যাবতীয় দায়িত্ব নেবে পুরনিগম। তবে তার আগে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কারণ শরীরে কী প্রবেশ করেছে, কোনওরকম অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলে কতদিন পর করোনার টিকা দেওয়া যাবে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুরনিগম। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই কসবার ওই ভুয়ো ক্যাম্প টিকা দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সেখান থেকে টিকা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার টিকা নিতে নেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনি টিকাকরণের কোনও শংসাপত্র না পাওয়ার পর জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। রাজডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে। তিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতার জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হযেছে ভুযো পরিচয়পত্র। অভিযোগ, তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জাল সই ব্যবহার করা হয়েছে। আপাতত দেবাঞ্জনকে জেরা করা হচ্ছে। তাতে নয়া তথ্য উঠে আসছে বলে সূত্রের খবর।