ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো দুই ভাগে চলছে আপাতত। তবে ধর্মতলা-হাওড়া ময়াদান অংশের সঙ্গে শিয়ালদা-সল্টলেক অংশকে জুড়তে কাজ শুরু হয়েছে বউবাজারে। এই পরিস্থিতিতে ধর্মতলা-হাওড়া অংশে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে এরই মাঝে সম্পূর্ণ রুটকে সচল করতে বদ্ধপরিকর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বউবাজারের রুটে কংক্রিট সুড়ঙ্গের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আরেকটি লোহার সুড়ঙ্গ। একটি টানেলে ১০৮ মিটার জায়গায়, অপর টানেলে ৯২ মিটার জায়গায় বসানো হচ্ছে বিশেষ স্টিলের রিং। মেট্রোর প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, এই রিং লাগানোয়, বাকি কাজ শেষ করতে অনেক সুবিধা হবে। দাবি করা হচ্ছে, ভূ-গর্ভের ভিতরে খোঁড়াখুঁড়ির সময় জল বেরনো আটকাবে এই লোহার রিং। (আরও পড়ুন: 💯বাংলায় জুড়েছে ২ রেলপথ, নয়া রুটে ট্রেন চালুর আগে অবশ্য ভোগান্তি লোকাল যাত্রীদের)
আরও পড়ুন: 🤡কাজের জন্যে মেট্রোর পরিষেবায় পরিবর্তন, নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা, কী বলছে রেল?
🎃 এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এই লোহার রিং বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড জুড়ে দেওয়া যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা আইটিডির কর্তা জানিয়েছেন, দুটো টানেলের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এখনও। আড়াই কিমি দীর্ঘ এক একটি টানেলে মোট ৪ জায়গায় এই প্লেট বসানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, সুড়ঙ্গে জল ঢোকার জেরে বারংবার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে সেখানকার সাধারণ বাসিন্দাদের। বারবার বন্ধ হয়েছে কাজ। তবে শরবাসীর নিত্যযাত্রায় আরও গতি আনতে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
𝄹 প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বারেও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মাণ টানেলে জল ঢুকে যায়। বউবাজার দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় সেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরানো হয় ৫০ জনের মতো বাসিন্দাকে। উল্লেখ্য, এর আগে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বউবাজার মেট্রোর কাজ। তবে সম্প্রতি ফের শুরু হয়েছিল মেট্রোর এই অংশের কাজ। এর আগেও মেট্রোর কাজের জেরে কলকাতা পুরসভার ৪৮ নং ওয়ার্ডের বহু বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেখানকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল এর জেরে। এরপর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মট্রোর কাজ। প্রসঙ্গত, মেট্রোর কাজের জন্য বউবাজারে প্রথমবার ধস নেমেছিল ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট। সেই আতঙ্ক ফিরে আসে ২০২২ সালের ১১ মে। সেবছরই ১৪ অক্টোবর ফের ধস দেখা দেয় বউবাজারে। মাটির তলায় জল থাকায় মেট্রোর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু বাড়ি। এখনও পর্যন্ত এত বছরে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বউবাজারের ৭০টি বাড়ি।