করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে সহায়ক হতে পারে পুরনো গাঁ🅘টের ব্যথা। নরেন্দ্রপুরের সংক্রমণে আক্রান্ত বৃদ্ধা সম্পর্কে এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে Covid-19 আক্রান্ত বিপজ্জনক রোগীদের মধ্যে ছিলেন ৭৬ বছর বয়েসি অঞ্জলি মাইতি। তিনি পুরনো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় (সিওপিডি) বহু বছর যাবৎ ভুগছেন বলে সংক্রম🧸ণ জটিলতর হতে পারত বলে আশঙ্কা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু তারই পাশাপাশি, দীর্ঘকাল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগে ভোগার ফলে এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছেন অঞ্জলিদেবী, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের দাবি, রোগমুক্🔴তির সমাধান লুকিয়ে রয়েছে করোনা সারানোর দাওয়াই হাইড্রক্সিক্লো꧃রোকুইন-এর ভিতরে।
অঞ্জলিদে൲বীর ছেলে সত্যব্রত মাইতি জানিয়েছেন, ‘রিউ🎀মাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে গত তিন বছর যাবৎ ওই ওষুধ খাচ্ছেন মা। ডাক্তাররা বলেছেন, তাতেই তাঁর রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়। বয়স এবং সিওপিডি রোগী হওয়ার কারণে তাঁর পক্ষে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। প্রতিদিন অ্যাজমা থেকে আরাম পেতে তাঁকে দুই বার ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। তাই আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম।’
কলকাতা দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা অঞ্জলি মাইতি মার্চ মাসের মাঝামাঝি পূর্ব মেদিনিপুরের এগরায় এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন﷽। তাঁর সঙ্গে আক্রান্ত হন পরিবারের আরও দুই সদস্য। তাঁদের তিন জনকেই আইডি হাসপাতালে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ-এর চিকিৎসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, ‘প্রবীণ নাগরিকের জন্য ওষুধটি নিশ্চিত ভাবে ফলদায়ী হয়েছে। নিয়মিত ভাবে তা ব্যবহারের ফলে তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। না হলে অবশ্যই তাঁকে নিয়ে ভয়াবহ ব✱িপদ দেখা দিত।’
আর হাসপাতাল থেকে ফিরে কী বলছেন বৃদ্ধা?
‘গাঁটের ব্যথায় দীর্ঘকাল ভুগছি। তার ওষুধেই না কি করোনা সেরেছে, বলছেন ডাক্তাররা। কথায় বলে, আগে তিতা পরে মিঠা,’ স্বস্তির হাসি দেখা 𝓀দেয় অঞ্জলি মাইতির মুখে।