কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা থানাগুলিতে কড়া নজর রাখতে চলেছে লালবাজার। বাংলা–সহ ভিন রাজ্যের লকআপে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই সংবাদে চলে আসে। তার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। একবছর আগে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় চোরাই মোবাইল জমা দিতে এসে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল এক ব🐼্যক্তির। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। লালবাজারের তদন্তে থানায় ঢোকা এবং বের হওয়ার রাস্তার সিসিটিভি ফুজেট মিলেছিল। কিন্তু থানার ভিতরে অফিসারদের ঘরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কী ঘটেছিল, সেই ফুটেজ ম𒐪েলেনি। তার উপর দু’দিন আগে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাও নাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশকে।
এইসব নানা ঘটনার জেরে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে লালবাজার। দেশের সব থানার ১৪টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ আগেই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে সব থানাতেই দ্রুত নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। প্রত্যেক থানার ফুটেজ যাতে পিটিএস–এর নতুন ডেটা সেন্টারে আসে, সেই পরিকল্পনাও করা হয়েছে। তাতে কোনও কিছুই পুলিশকর্তাদের নজর এড়াবে না। ২০২৪ সালে ২৮টি থানায় অত্যা♑ধুনিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। তবে অর্থের কারণে দু’বছর আটকে বাকি থানায় সিসিটিভি লাগানোর কাজ।
আরও পড়ুন: ‘সতর্ক থাকুন!’, এবার কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিস্🔯ফোরক অভিযোগ করলেন ধনখড়
পুলিশ সূত্রে খবর, থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ থানাতেই করা হয়। দরকারে তা চেয়ে পাঠালে লালবাজারকে দেওয়া হয়। লালবাজারে যে ডেটা সেন্টার রয়েছে সেখানে ফুটেজ ও ডেটা স্টোরেজের জায়গা কমছে। তাই দ্রুততার সঙ🎃্গে দুর্গাপুজোর মধ্যেই কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে (পিটিএস) একটি আধুনিক ডেটা সেন্টার তৈরি করছে লালবাজার। থানার ক্যামেরার ফুটেজ সার্ভারের মাধ্যমে নতুন ডেটা সেন্টারে স্টোর হবে। ইতিমধ্যেই ২৮টি থানায় নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানোর জন্য প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, থানায় ঢোকা–বেরোনোর পথ ছাড়াও লক আপ, লবি, রিসেপশন এবং অফিসারদের রুমেও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে। এমনকী টয়লেটের ༺বাইরেও লাগাতে হবে ক্যামেরা।