একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোনা গিয়েছিল, টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব। যদিও ফলাফল বলেছে, টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগেড যাত্রা অধরাই থেকেছে সিপিএমের। এখন লোকসভা নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। কারণ ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে হাতে আর এক মাস। তার পরই ভোটযুদ্ধ। এই আবহে সব রাজনৈতিক দলই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রচার করতে। যাদবপুর শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ‘গরম ভাতের গন্ধ থাক’ বা ব্রিগেডের জন্য ‘চলো ব্রিগেড চলো’ গ🐭ান হিট করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার আবার একটি থিম সং আসতে চলেছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচারে। থিম সংয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজির করা হচ্ছে শর্ট ফিল্মের। সৃজন ‘এলাকার ছেলে’ এবং ‘রুজি–রুটির লড়াই’ গানে থাকছে। ছবি♋র মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে অনেক কিছু।
এদিকে বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষ। যিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ভাল কথা বলেন। তাছাড়া মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করেন। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন সায়নী। সুতরাং যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস 💙বনাম সিপিএমের। এখানে বিজেপি খুব একটা ফ্যাক্টর নয়। কারণ এই আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতে আসছে। তার উপর বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ আছে। সামাজিক প্রকল্প থেকে মানুষের ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা রাজ্য সরকার মিটিয়েছে। সেখানে সৃজন নতুন প্রজন্মের ছেলে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সমালোচনা করলেও খারাপ কথা বলছেন না। এলাকার ছেলে। প্রচারে গিয়ে নিজের কথা তুলে ধরছেন। সেখানে বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় অনেক পিছনে পড়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ꦺষকদের ছুটি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল স্কুলশিক্ষা দফতর, ✤নির্দেশিকা পৌঁছল সর্বত্র
অ🅺ন্যদিকে সৃজনের প্রচারে উঠে এল মানুষের জীবন–জীবিকার কথা। কেমন প্রচার চলছে? কী থাকছে প্রচারে? এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন সৃজন। জবাবে সিপিএম প্রার্থী বলেন, ‘এটা রুটি–রুজির লড়াই। গরিব মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এইসব নিয়েই আমরা প্রচার করছি।’ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে ঝড় তুলেছেন সৃজন। পাল্টা কালবৈশাখী নামিয়ে এনেছেন সায়নী ঘোষ। তিনি এলাকার মহিলাদের নিযে নেচেছেন। আর সেই গানটি ছিল—ইনি বিনি টাপা টিনি টানাটুনি টাসা। সুতরাং এখন এই কেন্দ্রে পা রাখলে জমজমাট প্রচার দেখা যাবে। সেখানে দেখা নেই বিজেপির। যেটুকু আছে তাও শহর কেন্দ্রিক। শহর থেকে গ্রামে জমায়েত, মিছিলে তরুণ–তরুণীদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে এই দুই প্রার্থীর প্রচারে।