জানুয়ারি মাস শেষের পথে। ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এবা🐎র মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে এসেছে। তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। আর এটা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। কিন্তু সেই আপত্তিতে কাজ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ হাতে আর ১০ দিন মতো বাকি। তারপরই মাস শেষ হয়ে যাবে। তার মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্👍ত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের দাবি, পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসায় নানা অসুবিধা তৈরি হবে। এক, মূল পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রশ্নপত্র নিতে থানায় ভোর ৬টার মধ্যে আসতে হবে। দুই, শীতের সকালে সেটা বেশ কষ্টকর। তিন, প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্রের অধীনে থাকা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছতে হবে সকাল ৮টার মধ্যে। চার, কোনও কারণে সেটা না হলে পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে। এই বিষয়ে স্কুলশিক্ষক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিবাজারের স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকেন সল্টলেকে। তাঁকে ভোর ৪টেয় বাড়ি থেকে বেরোতে হবে।’
অন্যদিকে এই সময় এগিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে বিস্তর অসুবিধার কথা তুলে ধরেছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এমনকী নতুন সূচি প্রত্যাহার করার দাবিতে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ) মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে স্মারকলিপি দিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই সময় এগিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাই🉐ন বলেছেন, ‘পার্বত্য, তরাই, ডুয়ার্স, দক্ষিণবঙ্গ, জঙ্গলমহলের জেলাগুলির প্রত্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়তে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ি থেকে দূরে হলে তো কথাই নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা। সকালের কুয়াশায় ট্রেন বাতিলও থাকতে পারে। প্রয়োজনে সময় সকাল ১০টা ৪৫ করা হোক।’ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্🎉দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ🔴্বোধনে সোনা–রূপো থাকবে কলকাতায়, উপহার আসবে ট্যা💙ঁকশালে
এছাড়া একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যে সমস্ত শিক্ষক–শিক্ষিকা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি শেষ পর্যন্ত কাজটি ঠিক করে সামলাতে না পারেন, তাহলে রাজ্য সরকারের বদনাম হবে। শিক্ষা দফতর প্রশ্নের মুখে পড়বে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে দিন ছ🐈োট। তাই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তাই সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। যাতে বিকেলের মধ্যে সবাই বাড়ি পৌঁছে গিয়ে পরবর্তী পরীক্ষার জꦉন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। শিক্ষক–শিক্ষিকারা পাল্টা বলছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে না পারলে পরীক্ষাটাই তো দেওয়া হবে না। তখন আরও বিপাকে পড়বেন পরীক্ষার্থীরা।