শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্য𒐪ের বহু নেতা মন্ত্রীর। এ নিয়ে লাগাতার বিরোধীরা আক্রমণ করছে তৃণমূলকে। এবার ধর্মতলার শহিদ দিবসের সমাবেশে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা বিজেপি সিপিএমকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন তܫৃণমূল সুপ্রিমো।
তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি-সিপিএমের স🎃ব কথা জানি। কিন🐠্তু, আমি বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’ বিজেপিকে গদ্দার বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘শুধু গদ্দারদের ছেলে-মেয়ে এবং তাদের লোকজন চাকরি পাবে তাই কি হয়! আমরা চাই চাকরি হোক। কিন্তু, বিজেপি তা চায় না। সেই কারণে ওরা পিঁপড়ের মতো লেগে থাকছে।’ বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মমতা আরও বলেন, ‘রেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কোল ইন্ডিয়া, প্রতিরক্ষা কোথায় কী হচ্ছে তা জানতে বাকি নেই।’ মমতার বক্তব্য, এই সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে বিজেপি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি চাইছে না বাংলার যুবকদের চাকরি হোক। তিনি বলেন, ‘ওরা বলছে🧸 বাংলার🍸 লোককে চাকরি দেওয়া চলবে না। আর আমি বলছি আলবাত বাংলার মানুষকে চাকরি দেবো। ক্ষমতা থাকলে রুখে দেখাক।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। যে কারণে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে দেখা যাচ্ছে স🃏িপিএম নেতাদের। তবে সিপিএম আমলেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘ সিপিএম আমলে এক একটি শিক্ষকের চাকরি বিক্রি হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকায়। আমি নাম বলে ছোট করতে চাই না। তবে সিপিএমের একটি কাগজ রয়েছে। সেই কাগজের রিপোর্টারদের স্ত্রীরা সকলেরই চাকরি পেয়েছিলেন।’ এর পাশাপাশি🌳 সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে অনেক বেশি চাকরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘কাজ করলে ভুল হয়। আর কাজ না করলে ভুল হয় না।’