হাঁসখালি ও বগটꦡুইকাণ্ড🐟ে দলকে বাঁচাতে প্রকাশ্য প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে ওই প্রশাসনিক বৈঠকে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস ও বীরভূমের পুলিশ আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করেন তিনি।
এদিন রানাঘাটের পুলিশ সুপার সায়ক দাসকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাঁসখালির ঘটনা কী করে ঘটল? তোমাদের কোনও সোর্স নেই? খবর নেওনি কেন আগে?’ এর পর সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘তোমাদের একটু গাফিলতির জন্য সরকার কেন এগুলো ফেস করবে? সরকার কোনও কিছু লুকাতে চায় না। সরকার দোষীদের শাস্তি চায়। সে যেই হোক না কেন। তাহলে তিন – চারদিন লেগে গেল কী ভাবে? পরিবার𝓰ই বা কেন কোনও ত🌄থ্য দিল না?’
এদিন বগটুই গণহত্যা নিয়েও একই ভাবে পুলিশ আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘বগটুইয়ের ঘটনা পুলি🧔শের গাফিলতির জন্য ঘটেছে। একটা ঘটনা ঘটলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সেটা জেনে তৎপর থাকা উচিত ছিল পুলিশের। পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছলে এই ঘটনা ঘটত না। এজন্য সরকারকে খেসারত দিতে হচ্ছে’।
সম্প্রতি বগটুই ও হাঁসখালির ঘটনায় গোটা দেশে মুখ পুড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ𓄧্খলার চরম ঢিলেঢালা অবস্থা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে এই ২ ঘটনায়। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, রামপুরহাটে আক্রান্ত ও অভিযুক্ত দুপক্ষই তৃণমূল সমর্থক। যার ফলে হস্তক্ষেপ করতে ভয় পেয়েছে পুলিশ। হাঁসখালির ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, তাই নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ।