লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না মেলায় এবার রাজ্য সভাপতি বদলের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। সেজন্য বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবারই সুকান্তবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। যার ফলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে রদবদল অবধারিত 🥀হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - '🐬ভোটে জিতে ২৩৯ টাকার রিচার্জের সুযোগ দিচ্ছেন মমতা', সেই লি🐻ঙ্কে ক্লিক করলেই বিপদ
পড়তে থাকুন - 'সাড়ে ৮🥃 ঘণ্টা লেটে শিয়ালদায় এল লোকাল', মালপত্রඣ নিয়ে লাইনে রাজধানীর যাত্রীরা
বিজেপ♔ির সংবিধান অনুসারে, কোনও ব্যক্তি একসঙ্গে ২টি পদে থাকতে পারেন না। ফলে সুকান্তবাবু মন্ত্রী হলে তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে ইস্তফা দিতেই হবে। ফলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রদবদল এখন সময়ের অপেক্ষা।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে বসেন সুকান্তবাবু। তাঁর তিন বছরের কার্যকাল শেষ হচ্ছে জুনেই। এর মধ্যে রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ༺চা চক্রে দেখা যায় সুকান্তবাবুকে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, আমি মন্ত্রী হচ্ছি। এই প্রথম আমার জেলা থেকে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা বাস্তবায়িত করতে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাই কোন মন্ত্রক পেলাম সেটা বড় কথা নয়। দেশের জন্য কাজ করতে পারব সেটাই বড় কথা।
রাজ্য সভাপতির পদে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘দল যা নির্দেশ𒅌 দেবে তাই করব। দলের ওপরে তো আর কিছু নেই।’
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রথম বড় নির্বাচনেই হতাশাজনক পারফর্মেন্সে সুকান্তকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিতে চায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই তাঁর সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা 🦹করা হয়েছে। ২০২১ সালে সুকান্ত মজুমদা♌র রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলের অন্দরে পুরনো পন্থীদের বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দলের এই পুরনো নেতাদের অধিকাংশই হয় RSSএর নির্দেশে বিজেপিতে এসেছেন, নইলে RSSএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাদের। সেই নেতাদের সরিয়ে দেওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে তারা বসে যান। সঙ্গে বসে যান সংঘের কর্মীরাও। যার জেরে বিজেপির অপ্রত্যাশিত ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁ🎀ছে দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার
এছাড়া সুকান্তবাবুর জমানায়, রাজ্য বিজেপিতে তৃণমূল থেকে আসা লোকেদের প্রভাব বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদের বিশ্বস্ততা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যার ফলে সুকান্তর নেতৃত্বে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সুকান্তবাবুর মন্ত্রিত্ব লাভে রাজ্য বিজেপি💮র সভাপতি কে হতে চলেছেন তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।