সোমবার সন্দেশখালিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যা হয়েছে আমি ভুলে গেছি। বিজেপির কালো টাকায় হাত দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ ক🐽রলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিধাননগর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মা বোনেদের সম্ভ্রম লুঠ হয়েছে, এত সহজে ভুলে যাব?
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘উনি সন্দেশখালি গিয়ে বলেছেন, যা হয়েছে আমি সব ভুলে গেছি🐭। আপনারাও ভুলে যান। এত💎 সস্তা আমাদের মা বোনেদের সম্ভ্রম? ভুলে যাব? উনি তো ভুলে যাবেনই। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অতীত। ৭০ হাজার ভোটে জেতা সিট ৭ হাজারে হেরেছেন। ভুলে তো যাবেনই। বাকিটার উত্তর মঙ্গলবার দেব। আমার তো ২ - ৩ কোটি টাকার সভা নয়। পুলিশের লঞ্চ থাকবে না। বাইরের লোকজন নিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
কালো টাকা ইস্যুতে পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘বিজেপির কালো টাকা নেই আর টাকা সরাসরি দেওয়ার সুযোগও নেই। সব টাকা দিয়ে হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী বেতন নেন না কিন্তু তার লাইফস্টাইল লোকে দেখছে। ওনার পরিবারের একটা লোকের নাম বলুন তো ১১ সালের আগে বিদেশে গেছেন। আর ১১ সালের পরে আপনার পরিবারের লোকরা ডাক্তার দেখাতে আমেরিকা যায়। ২ বার ইউরোপ ৪ বার দুবাই যায়। আপনি কার কাছে কী গল্প করছেন? মানুষ দেখতে পাচ্ছে না? এই মুখ্যমন্ত্রীর তো সড়কপথে সন্দেশখালি যাওয়া উচিত ছিল। এখন তো বর্ষা নেই, কাদা নেই। অধিকাংশ এলাকা তো ওনার ভোটব্যাঙ্ক। কালো পতাকা তো কেউ দেখাত না। পুষ্পবৃষ্টি খেত খেতে যেতেন। বদলে গেছেন। রাজতন্ত্র উঠে গেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, পরিবারতন্ত্রের নামে ভোগ বিলাস আয়েশ। সঙ্গে ভুল বুঝিয়ে একদম কড🌠়া সাম্প্রদায়িক প্রচার করে। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক আর অভাবের সুযোগ নিয়ে চাকরি না দিয়ে ভাতা বিতরণ।’
সোমবার সন্দেশখালির প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বলেন, ‘যা হয়েছে হয়েছে আমার মনে নেই। আমি ভুলে গেছি। বিজেপির চক্রান্ত তো আপনারা জানেন। ওদে♑র অনেক টাকা আছে। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলতেন ওরে টাকা মাটি, মাটি টাকা। এগুল💜ো মানুষের টাকা নয়, এগুলো অন্যায়ের টাকা। বিজেপির টাকায় হাত দেবেন না।’