শহরের নানা বাড়ি হেলে পড়ছে। আর তা নিয়ে কলকাতাবসীর আতঙ্কের শেষ নেই। এই ঘটনা সামনে আসার পর কলকাতা পুরসভা এবং কাউন্সিলরদের প্রশ্নের মুখে🤡 পড়তে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে জমির চরিত্র খারাপ। আবার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তো আছেই। টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। এই সম🌞স্যার সমাধান করতে এবার খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিল্ডিং কমিটি গঠন করল নবান্ন। সুতরাং আর নিয়ম ভেঙে বাড়ি তৈরি বরদাস্ত করা হবে না। সেই বার্তাই দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার এই স্টেট লেভেল বিল্ডিং কমিটিই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এমন খবরই মিলেছে নবান্ন সূত্রে।
ইতিমধ্যেই হেলে পড়া বাড়ি এবং বিল্ডিং বিভাগ নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরূপরতন মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে আট সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। যাতে রয়েছেন—দফতরের ল’অফিসার, চিফ টাউন প্ল্যানার, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, খড়্গপুর আইআইটি’র ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিংয়ের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বিপ্লবকান্তি সেনগুপ্ত। তার সঙ্গে থাকছেন আরও দুই বিশেষজ্ঞ আর্কিটেক্ট। এই কমিটিকে এমন করা হচ্ছে যাতে কোথাও কোনও ফাঁক–ফোকর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধরে পড়ে। তবে এই কমিটির মেম্বার﷽ কনভেনার করা হয়েছে রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিন💃িয়ারিংয়ের প্ল্যানিং সার্কেল দক্ষিণের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে।
আরও পড়ুন: আইপিএস অফিসার নগেন্দ্র ত্রিপাঠিকে তুলে নিতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, নবান্ন পেল চিঠি
২০০৭ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং রুলস অনুযায়ী, অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যানকে অবজ্ঞা করে বাড়ি গড়ে উঠলেই সংশ্লিষ্ট পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলার্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টি এই কমিটির কাছে পাঠানো যায়। অনুমোদনহীন এবং বেআইনি কোনও নির্মাণ হলে সেটা যাচাই করতে পারে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আর এই কমিটিই ঠিক করবে কেমন করে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়। একইসঙ্গে প্রযুক্তিগত কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রেও পরামর্শ নেওয়া হবে ওই কমিটির কাছ থেকে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভার কমিশনার অথবা এক্সিকিউটিভ অফিসার কি෴ংবা টেকনিক্যাল অফিসারকেও বৈঠকে ডাকতে পারবে কমিটি।
ইতিমধ্যেই শহরের নানা এলাকায় হেলে পড়া বাড়ি নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য– রাজনীতি। তার সঙ্গে বেআইনি নির্মাণের কথা খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে শুনতে হয়েছে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রীও এইসব ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। যা জানিয়ে দিয়েছেন মেয়রকে। তাই সমস্যার সমাধান চান মꦬেয়র। বারবার বৈঠক করে🀅ন ফিরহাদ হাকিম অফিসারদের সঙ্গে। তিনিনিজেই জানিয়েছেন, এমন ঘটনা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না। তারপরই এই রাজ্য স্তরের কমিটি গঠন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।