নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মহান দেশনায়ককে ঘিরে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকেও নাম না করে বিঁধলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি যোজনা কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছে। বাংলায় যোজনা কমিশন গড়ে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনসিসির বদলে স্কুল কলেজে জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলা হবে। নেতাজির নামে রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি বলেন, ইচ্ছে ছিল নেতাজির জন্মদিবসে পদযাত্রা করার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। তিনি বলেন, যাঁরা ধর্মের নামে দেশভাগ করতে চাইছেন তাঁদের বলব দয়া করে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ পড়ে দেখুন। ভাগাভাগি করে, দেশভাগ করে জাতীয়তাবাদ দেখানো যায় না। আমি চাই গান্ধীজি কাকে বেশি ভালোবাসতেন তা নিয়ে বিতর্ক হোক। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হোক দেশপ্রেমের ইতিহাস। একটি অমর জ্যোতি নিভিয়ে নেতাজির মূর্তি বসিয়ে সুভাষকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না। মমতার প্রশ্ন ,কেন এতদিন নেতাজির মূর্তি তৈরি হল না? এখন ওখানে মূর্তি বসিয়েছেন আমাদের চাপেই। কেন বাতিল হল নেতাজির ট্যাবলো? বাংলাকে কেন পদে পদে এত অবজ্ঞা? প্রশ্ন মমতার।এদিকে নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে ময়দানের অনুষ্ঠানে নেতাজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। শঙ্খও বাজান তিনি। নেতাজির স্মরণে গান গেয়ে ওঠেন নেতাজি পরিবারের সদস্য সুগত বসু ও তাঁর ভাই।