নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়লেও ফল প্রকাশের কয়েকদিন পরই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এহেন মুকুল রায়কেই প্রথা ভেঙে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। যা নিয়ে চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। মামলা গড়িয়েছে হাই কোর্ট পর্যন্ত। তবে আদালতে মামলা গড়ালেও সেই মামলা সংক্রান্ত নথি নাকি মুকুল রায়ের হাতে এসেই পৌঁছায়নি। এই আবহে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মামলার শুনানি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ অগস্ট। মামলাকারী অম্বিকা রায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে যেন এই মামলার হার্ডকপি অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হয়।মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীকে আগামী ২৪ অগস্টের মধ্যে স্পিকারের বক্তব্যের পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।উল্লেখ্য, বিধানসভার প্রথা অনুযায়ী পিএসির চেয়ারম্যান করা হয় বিরোধীদলের কোনও বিধায়ককে। কিন্তু সেই রীতি ভেঙে মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে বলে বিজেপি বিধানসভার ভেতরে বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। কুড়ি সদস্যের পিএসি কমিটিতে ৬ জনের নাম দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁদের কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করলেও চেয়ারম্যান করা হয় মুকুল রায়কে। মুকুল রায় দলবদল করায় বিজেপির তরফে মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়নি। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অম্বিকা রায়।এদিকে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, বিষয়টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র বিধানসভার স্পিকারের। চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে তিনি চূড়ান্ত ক্ষমতা ভোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সংবিধানের ২১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিধানসভায় চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী স্পিকার। অন্যদিকে মামলাকারী অম্বিকা রায়ের বক্তব্য ছিল, মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সবসময় বিরোধী দল থেকেই মনোনীত হন। কিন্তু মুকুল রায় এখন আর বিজেপির সদস্য নন । সেই কারণেই চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নিয়োগ বাতিল করা উচিত।