আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘটনার ဣ১৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া𒁏 দ্বিতীয় কেউ এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু, সেভাবে অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তারা তদন্তকারী সংস্থার কাছে দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত শেষ করার আর্জি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, নিজেদের সুবিধার জন্য কেউ যেন তাঁদের মেয়েকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে সে বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছেন নির্যাতিতরা বাবা-মা।
আরও পড়ুন: RG কর নিয়ে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ রোখার চেষ্টা? স্কুলে-স্কুলে 𝐆নির্দেশ, ‘হীরক রানি……’
সিবিআই তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘১৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আমরা এখন ধৈর্য হারাচ্ছি। সিবিআইকে আরও সক্রিয় হতে হবে। 🧔সিবিআই-এর প্রতি মানুষের আস্থা আছে এবং আমরাও তাদের বিশ্বাস করি। কিন্তু, তারা এখনও পর্যন্ত মামলার সমাধান করতে পারেনি। তাদের দ্রুত মামলার সমাধান করা উচিত।’ নির্যাতিতার মা বলেন, ‘প্রতিটি দিন এখন আমাদের কাছে খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা দিনই আমাদের কাছে এক বছরের মতো মনে হচ্ছে। আমাদের সিবিআই-এর ওপর আস্থা আছে। কিন্তু, ধৈর্য হারানোর আগে দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।’
নির্যাতিতার বাবার দাবি, যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছিল সেটি হস্তক্ষেপ করতে দেরি করা হয়েছে বলেই তদন্তে দেরি হচ্ছে। নাহলে সিবিআই এতো সময় নিত না। তবে, তারা পলিগ্রাফ পরীক্ষার মতো বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তিন✤ি জানান, ‘আমরা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে💦 সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যা জানি তা তাদের বলেছি।’
এদিকে, নির্যাতিতাকে নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে অনেক ভুয়ো পোস্ট হচ্ছে। তা নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি সমাজ মাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য এবং অনুপযুক্ত ছবি প্রচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। নির্যাতিতার বাবার আর্জি, ’অনুগ্রহ করে ওকে কারও ব্যবসার জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্✅যবহার করবেন না।’ এর আগেও মেয়ের ছবি পোস্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই ধরনের পোস্ট মুছে ফܫেলেছে বলে তিনি জানান। নির্যাতিতার ধর্ষণের জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ের সঙ্গে শেষ কথোপকথনের কথা স্মরণ করে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘তাঁর ডিউটি শেষ হওয়ার পরে ৮ অগস্ট রাত ১১.১৫ টার দিকে সে আমাকে শেষবারের মতো ফোন করেছিল। সে আমাকে বলেছিল যে সে এবং তাঁর সহকর্মীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিয়েছিল। তাঁরা রাতের খাবার শুরু করতে চলেছে। এরপর অন্যান্য দিনের মতো সে আর ফোন করেনি। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু, আমার মেয়েকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতে পারে তা কখনও কল্পনাও করিনি। এই হত্𝓰যার ন্যায়বিচার চাই।’