ভ্যালেন্টাইস ডে'র জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র-যুব সম্মেলন নিয়ে টালাবাহানা চলছিল। তাতে রীতিমতো ক্ষোভের সুরে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে বসেন, যাঁরা ভ্যালেন্টাইস ডে পালন করতে চান, তাঁরা আগেভাগেই তৃণমূল থেকে বেরিয়ে যান। যদিও পরে হাসির ছলে জানান, ভালোবাসার দিন পালন হোক। এমন অনেক দিবসই আছে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইস ডে তো ১৪ তারিখে। তাই ১৩ তারিখ সম্মেলন হোক।রবিবার সরশুনা কলেজের মাঠে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বুথকর্মী সম্মেলন করছিলেন পার্থ। শেষের দিকে পার্থ জানান, বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর কেন্দ্রে বিভিন্ন স্তরে সম্মেলনের আয়োজন হয়েছে। শুধুমাত্র ছাত্র-যুব সম্মেলন হয়নি। তাই সেই সম্মেলন কবে হবে, তা ঠিক করার নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক সম্মেলনে হাজির একাংশের তরফে আগামী ১২ বা ১৩ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১২ তারিখেই সিলমোহর দেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। তবে সেই দিনক্ষণ নিয়ে অনেকে কিন্তু কিন্তু করছিলেন। সেদিন শুক্রবার হওয়ায় পরদিন অর্থাৎ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলন করার প্রস্তাব দেন একাংশ। পরবর্তী ঘটনাক্রমের একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে পার্থকে বলতে শোনা যায়, শনিবার কি কোনও বিশেষ দিন আছে? সেই সময় এক তৃণমূল নেতা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি তো ভ্যালেন্টাইস ডে। তাই ১৩ এবং ১৪ তারিখ ছাত্র-যুবদের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। সেই শুনে কিছুটা রেগে যান তৃণমূলের মহাসচিব। বলে দেন, যাঁরা ভ্যালেন্টাইস ডে পালন করতে চান, তাঁরা আগেভাগেই তৃণমূল থেকে বেরিয়ে যান। একইসঙ্গে মন্তব্য করেন, চাকরি করতে করতে ভ্যালেন্টাইস ডে করবেন? সেইসঙ্গে রাজনীতিও করে যাবেন? ভ্যালেন্টাইস ডে'ও পালন করবেন? পার্থের সেই মন্তব্যে অবশ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়নি। উলটে সবাই হেসে ফেলেন। তা দেখে হেসে ফেলেন খোদ পার্থও। ভ্যালেন্টাইস ডে'র মতো অনেক দিবস আছে। ভ্যালেন্টাইস ডে'ও হোক। কিন্তু তা তো ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেরদিন ছাত্র-যুব সম্মেলন হোক। শেষপর্যন্ত তাতেই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে।