আর দশ দিন পরই নতুন বছর। ইংরেজির ২০২৩ সাল। সেটাও কি জেলেই কাটবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ আজ, বৃহস্পতিবার আবার আদালতে পেশ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই মেয়াদ শেষ করেই আজ আলিপুর বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। আজ আলিপুর আদালতে ঢ♍োকার মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীꦰদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। তাতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, নতুন বছরও জেলেই কাটবে প্রাক্তন মন্ত্রীর।
ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আজ, বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়–সহ সাতজনকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সবুজ রংয়ের পাঞ্জাবি এবং নীল জহর কোর্ট পরে তিনি আদালতে প্রবে♔শ করেন। আর আদালতে ঢোকার সময়ই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের ২৫তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে সকল সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমার এলাকা বেহালার নাগরিকদের অভিনন্দন। বহু প্রতীক্ষিত জোকা–তারাতলা মেট্রো রেল চালু হোক। আমাদের বহুদিনের শখ, তা যেন পূর্ণতা পায়।’
আর কী জানা যাচ্ছে? আগেও শর্ত 🍎সাপেক্ষে জামিন চেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সিবিআইয়ের পোক্ত যুক্তিতে আটকেছে জামিন। প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করেছেন তদন্তকারীরা। এমনকী উঠেছে কেস ডায়েরিতে যড়যন্ত্রের অভিযোগ। আজ আবার কোন শর্তে জামিন চাইবেন পার্থ? সেটাই এখন দেখার। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গত জুলাই মাসে শিক্𓆉ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এইসব মন্তব্যে আমল দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। আগেরবার তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তখন শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর তত্ত্বের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃ𒆙ণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থবাবুর এই কাজ দল ভাল চোখে নেয়নি। পার্থবাবু বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘদিন একটি দলে ছিলেন। দল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।’