൲ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এখন মাঠে নামতে চলেছে বিজেপি। আর তাই বাংলার এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ, রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যে দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব, বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু এই প্রতিনিধি দলের কর্মসূচিতে সামান্য রদবদল হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামীকাল, সোমবার ইদের জন্যই এই রদবদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আবার আজই আক্রান্তদের নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং বিজেপির এখন ইস্যু ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’।
🔯কলকাতায় এসে বিজেপির প্রতিনিধি দলের চার সদস্য যাবেন মাহেশ্বরী ভবনে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি। সেখানে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই কাজ সেরে রাত কাটিয়ে পরেরদিন তাঁদের সন্দেশখালি, বাসন্তী, ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার কথা ছিল। এখানেই হয়েছে রদবদল। ইদের থাকার দরুন সোমবার সেখানে যাচ্ছেন না প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তাই এই কর্মসূচি বদল করে আগামীকাল, সোমবার প্রতিনিধিদল যাচ্ছে কোচবিহারে। যেখানে ইতিমধ্যেই ঘুরে এসেছেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে রাতে ফিরে আসবেন তাঁরা কলকাতায়। আর মঙ্গলবার দিন যাবেন তাঁরা সন্দেশখালি, বাসন্তী, ডায়মন্ডহারবার। তারপর ফিরে যাবেন নয়াদিল্লিতে।
আরও পড়ুন: 𝓀‘বামপন্থায় হতাশার কোনও জায়গা নেই’, শূন্যতা নিয়েই লড়াইয়ের ডাক দিলেন সেলিম–সুজন
🌃বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করছেন, ভোটের পর শুধু ‘হিংসা’ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই তার কারণ অনুসন্ধান করতে আসছেন চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধি দলকে নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বিজেপি। তাতে সই করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিনহা। এই বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, ওই প্রতিনিধি দলে বিপ্লব দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদ ছাড়াও থাকছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ কবিতা পাটিদার। এই চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন।
♒ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না সেটাও প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গোটা দেশে এবার লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সেখানে কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। শুধু হয়েছে বাংলায়।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তর্কের খাতিরে যদি সেটা মেনে নেওয়া হয় তাহলে তো বিজেপির নেতাদের মুখ পুড়বে। কারণ প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে এতদিন কেন বিজেপির নেতারা কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি?’