🤡 সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির আসন কমে যাওয়ার পরও আন্দোলন সেই আদালত এবং রাজভবনেই সীমাবদ্ধ থাকছে। তাই বৃহস্পতিবার রাজভবন যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পুলিশের বাধায় যেতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশ রাজভবন যেতে শুভেন্দুকে বাধা দিতে পারবে না। তারপরই শুভেন্দু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রবিবার আবার রাজভবনে যাবেন।
🅷আজ, শনিবার শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে কয়েকজনকে নিয়ে আগামীকাল, রবিবার রাজভবনে যাবেন। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নতুন করে আবেদন তাঁকে করতে হবে। যদি রাজভবন সেই সাক্ষাতের অনুমতি দেয় তবেই সেখানে যেতে পারবেন আক্রান্তরা। গতকাল শুক্রবার এই কথাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনে আবার নতুন করে সাক্ষাতের আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল তাঁকে সেই অনুমতি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: 🍎কালিম্পংয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজু, রাজ্য সরকারকে দায়ী করতেই এল পাল্টা কটাক্ষ
ꦗভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম তখন অ্যাকশন মুডে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এমন অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কড়া বার্তাও দিয়ে বলেছেন, ‘নিরাপরাধ মানুষদের বন্দুকের নলের সামনে রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ। রাজ্যপাল হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’ রাজভবন থেকে বিরোধী দলনেতাকে রবিবার সাক্ষাতের জন্য সন্ধ্যা ৬টায় আসতে বলা হয়েছে।
🌸এছাড়া রবিবার চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসছেন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সেখানে চারজন সাংসদ থাকছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিজেপির নেতারা। এই আবহে গোটা বিষয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুতরাং রবিবাসরীয় সকাল থেকে সরগরম হয়ে উঠবে রাজ্য–রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী ওই কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে দেখা করেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। তবে এই ঘটনা নিয়ে যখন কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া হয় তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রাজ্যপালকে কি গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে?’