রাত পোহালেই চালু হয়ে যাবে বহু প্রতীক্ষিত লোকাল ট্রেন। যা করোনাভাইরাসের জেরে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ ছিল। বুধবারই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আবার আওয়াজ শোনা যাবে ভারী লোকাল ট্রেনের হর্নের। আর তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। ব𒐪িভিন্ন স্টেশনে স্বা♍ভাবিক ছবি ফিরিয়ে আনতে কাজে নেমে পড়েছেন রেলকর্মীরা।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে একে অন্যের কোর্টে বল ঠেলা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে একটি এসওপি জারি করে নবান্ন। অন্যান্য বিধিনিষেধের সঙ্গে জানানো হয় যে স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন হলে তা꧃ করবে রেল। যদিও এর আগে রাজ্যকেই এই ব্যবস্থা তৈরি করতে বলেছিল রে﷽ল।
রেলের আধিকারিকরা জানান, পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ–পূর্ব রেল ৬৯৬টি ট্রেন চালাবে বুধবার থেকে। সেখানে ৪১৩টি ট্রেন শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে। আর ২০২টি ট্রেন ছাড়বে হাওড়া থেকে। বাকি ৮১টি ট্রেন চলবে খড়গপুর থেকে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল রবিবারই টুইট করে জানিয়েছিলেন, কোভিড বিধিꦡ মেনে 🏅১১ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু হবে।
স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তা নির্দিষ্ট করতে হবে। স্টেশনের বাইরে থাকবে পুলিশ। স্টেশনে ঢোকার আগে থার্মাল চেকিং করা হবে। মাস্ক আছে কিনা তা দেখা হবে। স্টেশনের বাইরে বা রাস্তা সংলগ্ন রেললাইনে জটলা এড়াতে নজর রাখবে পুলিশ। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল পরিষেবা চালু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী বিক্ষোভের ♎আশঙ্কা থাকছেই। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই স্টেশন এবং ট্রেনের কোচ স্যানিটাইজ করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রঙিন দাগ কেটে রাখা হবে। আর মাস্ক এখানে পরাটা বাধ্যতামূলক।
বাঁশ, দড়ি ও গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড༺ করা থাকবে। টিকিট কাউন্টার থেকে স্টেশন পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। রেলের দেওয়া এসওপি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর পথে পর্যাপ্ত পুলিশ রাখা হোক, প্রয়োজনে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা থাকবে। সব বড় স্টেশন এবং জেলার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে রাজ্য। প্ল্যাটফর্ম এবং রেলের কামরায় হকার ও ভেন্ডারদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। স্টেশনের ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রেল পুলিশ।
মঙ্গলবারও এইসব নিয়ে বৈঠক রয়েছে রেল–রাজ্যের। বিভিন্ন স্টেশনের ঢোকা ও বেরনোর রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ চায় রেল। রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ🔜েও পুলিশি সাহায্য চায় রেল। প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের কামরায় হকার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে রেল। হাওড়া স্টেশনের পাশাপাশি এখন শিয়ালদহ স্টেশনেও চরম ব্যস্ততা। সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, তার জন্য প্রত্যেক প্ল্যাটফর্ম এবং টিকিট কাউন্টারের সামনে সাদা রং দিয়ে গোল চিহ্ন আঁকা চলছে। শুধু ট্রেনের ভিতর ও বাইরে নয়, স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম চত্বরেও। কারণ করোনা আবহে ট্রেন চালানোই রেলের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ শেষ চাকা গড়িয়েছিল ট্রেনের। তার💯 পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এদিকে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্টেশন। যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্টেশন চত্বর। এই বিক্ষোভ থামাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।