অবশেষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন নির্দল প্রার্থী রতন মালাকার। তৃণমূলের ২০ বছরের কাউন্সিলর দল থেকে টিকিট না পাওয়ায় তিনি নির্দল হিসsবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ৭২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি মমতার ভ্র তৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুরভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন। উল্লেখ্য, আগামিকাল (শনিবার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।এবারের পুরভোটে প্রত্যাশামতো তৃণমূল থেকে টিকিট পাননি অনেকেই। যার ফলে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের মধ্যে। 'ক্ষুব্ধ' হয়েছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্রও। পরে অবশ্ দল ছেড়ে কংগ্রেসে চলে গিয়েছিলেন কলকাতার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর পার্থ মিত্র। যদিও পরের দিনই তিনি আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। এই অবস্থায় দলের অন্দরের কোন্দল মেটাতে তৎপর তৃণমূল।সূত্রের খবর, গতকাল রাতে রতনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রতন মালাকারকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেন। এরপরে আজ তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সঙ্গে বলেন, 'আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দলের সৈনিক এখনও আছি। এই জায়গায় পৌঁছেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 'উল্লেখ্য, দল থেকে টিকিট না পেয়ে পাশের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও, রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যাযয়ের বোন তনিমা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তারা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সে বিষয়ে ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ফলে বাকি দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন কিনা তা কালকেই জানা যাবে।অন্যদিকে, যারা তৃণমূল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল জেলা সভাপতি দেবাশীষ কুমার।