ꦆ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানিক ভট্টাচার্যেরও একটি স্কুল রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ভরা আদালতে এমনই সওয়াল করল ইডি। পাল্টা এই সওয়ালের বিরোধিতা করে জবাব দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। তাঁর কথায়, ‘যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে সেটা ১০০ বছরের পুরনো সরকারি স্কুল। তাই শুনানির সময় মানিক ভট্টাচার্যকে এজলাসে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক।’ মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী এই আবেদন করলেও তাতে সম্মতি দেননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
🐈এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘না, এখন দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আদালত ডেকে পাঠাবে।’ তারপরই শুনানির জন্য আরও তিন সপ্তাহ সময় চায় ইডি। তখনই বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, ‘আগেও তো দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে? এখনও তো চার্জশিট পেশ করতে পারেননি।’ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। তিনি এখন জেল হেফাজতে আছেন। ইডি’র অভিযোগ, দুর্নীতির শিখরে বসেছিলেন মানিক–পার্থ। তাঁরা দু’জনে ষড়যন্ত্র করে স্কুলের চাকরি মোটা টাকায় বিক্রি করেন।
𝓰অন্যদিকে এবার মানিক ভট্টাচার্যের নামেও একটি স্কুলের সন্ধান মিলেছে বলে আজ ইডি’র তদন্তকারীরা দাবি করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আজ মঙ্গলবারই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, সেই রিপোর্টে পার্থর নামে আরও অজানা তথ্য সামনে আসবে। মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে সেটি একটি সরকারি স্কুল। ওই স্কুলটি ১০০ বছরের পুরনো। মানিক ভট্টাচার্যের নিজের বা যৌথ মালিকানায় কোনও বেসরকারি স্কুল নেই। যা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘যা যা তদন্তে উঠে আসছে, সবই সামনে আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: 🌄কৃষি মান্ডিতে যাওয়ার পথে সজোরে লরির ধাক্কা, মালদায় একসঙ্গে চারজন কৃষকের মৃত্যু
༒আর কী জানা যাচ্ছে? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্বে থাকাকালীন দুর্নীতি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ ইডির। তাছাড়া মানিক ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশীপাড়ার বিধায়ক। যদিও তাঁর স্ত্রী সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম ইডি জানাল, মানিক ভট্টাচার্যের নামে স্কুল রয়েছে। যদিও কোনও তথ্যপ্রমাণ আজ পেশ করেননি ইডির আইনজীবী। এই আবহে ইডি চার্জশিট দিতে কেন দেরি করছে? সে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আবার ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হোক।