মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকাতে পারে, হাসপাতালের এমন বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, তাঁদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। এই আবহে মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করতেন, এমন কয়েক জনের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের সন্দেহ করার কারণও জানিয়েছেন। এদিকে সিবিআই জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, এমন অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। শুরু হয়েছে তাদের জেরার প্রক্রিয়া। (আরও পড়ুন: 'সেই রাতে সেমিনার হলে সন্দীপ...', আ🅘রজি কর কাণ্ড💮ে সামনে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় ৩ দিন ছুౠটির প্রস্তাব করা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বদলি ৯ দিনেই
আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে প্রতিবাদের জের? সন্দীপ🍨কে 'পুরস্কৃত' করা সরকার ব🐭দলি করল ৪৩ চিকিৎসককে
এদিকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা বলেন, 'যখন ওই সিজার লিস্ট হয়, সেখানেও আমি বসেছিলাম। তখন পুলিশ কেসটা ঘোরানোর জন্য আমার মেয়ের ব্যাগ থেকে কতগুলো রিপোর্টও বের করে আমায় দেখায়। আমাকে বলা হয়, মেয়ে তো অসুস্থ ছিল। এত ওষুধ খেত। তখন আমি বললাম যে না, আমার মেয়ের একটা আন-নন বাইট হয়েছিল আগের সপ্তাহে। ও ওইজন্য ওই ট্রিটমেন্ট, ওই রিপোর্টগুলি করিয়েছিল। সেদিন ওর ওপিডি ডিউটি ছিল। ওপিডিতে এমআর ওই ওষুধগুলো দিয়েছিল। তারপর আর ঘোরাতে পারেনি।' (আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে ফাঁস হচ্ছে রহস্যꦡ, আরজি কর হসপ🌳াতালে হামলা চালানো ব্যক্তিদের পরিচয় কী?)
আরও পড়ুন: 'জড়িত থাকতে পারে...', মমতার ১০ লাখ খারিজের পর CBI-কে কী বললেনꦕ নির্যাতিতার বাবা?
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণী🌠কে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলাতেও ক্ষত ছিল বলে জানা যায়। রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মেলে ছোপ রক্তের দাগ। এই সবের মাঝে সঞ্জয় রায় বলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনা মূল অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এমনকী 'ভিতরের লোক' জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে।