আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ধর্ষণ, খুন, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে নেমেছে সিবিআই। ধর্ষণ করে খুনের তথ্য সিবিআই পেয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের কথা বলা হলেও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণই এখন সিবিജআইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই আবহে আজ, বুধবার শিয়ালদা আদালতে আরজি𓃲 কর হাসপাতালের ঘটনায় এবার জামিনে আবেদন করলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল।
এদিকে আরজি কর হাসপাতাল অথ♕বা স্বাস্থ্যদফতরের দুর্নীতির তদন্ত চলছে। আজও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ–খুনে আর দেরি করতে চাইছে না সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। আজ, বুধবার অভিজিৎ মণ্ডল আদালতে বলেন, ‘আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে? অন্তর্বর্তী জামিন দিন। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট পালিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।’ অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআই যখনই তলব করেছে তখনই আমার মক্ক♉েল হাজিরায় সাড়া দিয়েছে। ডিউটি নিয়ে কোনও প্রশ্নও তোলা হয়নি। এমনকী ৪১ নোটিশও দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্তদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি–মারধরের অভিযোগ, তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল
অন্যদিকে আজ, বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনেক কিছু জানিয়েছি। আগামী ৩০ তারিখ আবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দেব। আমাদের হাতে ম্যাজিক করার কিছু নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। সিসিটিভি, মোবাইল সব বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমরা জেল হেফাজত চাইছি। তারপর আবার প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে।’ অভিজিতের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একজন ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতা💮র করার ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। যদি ভুল হয় সেক্ষেত্রে রাজ্যের সম্মতি নিতে হয়। আমার মক্কেলকে ১০ বার ডাকা হয়। শেষবার আমার মক্কেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির কারণ দেওয়া হয়নি। সেটা সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে বলে🤪ছে গ্রাউন্ড অফ অ্যারেস্ট দিতে হবেই। তথ্য নষ্ট করা আমার হাতে নেই।’