আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ কꦺরে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। সুবিচারের দাবিতেই এই আন্দোলন বলে তাঁদের দাবি। স্বাস্থ্যভবনের সামনে চারদিন ধরে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই সেখানে অচলাবস্থা কাটাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আছেন ডিজি রাজীব কুমার। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ‘উই ওয়ান্ট জা🌊স্টিস’ স্লোগান উঠেছে। নবান্নে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার দু’দিনের মাথায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করার অডিয়ো ক্লিপ কলকাতা পুলিশ যাচাই করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করেনি। আর কলকাতা পুলিশ যাচাই করে মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। এক, সঞ্জীব দা🎃স। দুই, কলতান দাশগুপ্ত। এদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। সেখানে ১৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নেমে না আসে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। যদি সত্যি কেউ দোষী হয় তাহলে শাস্তি পাবে। দোষীরা কেউ আমার বন্ধ🌟ু নয়। আপনারা যাঁরা ভাবছেন কেউ আমার বন্ধু আমি তাঁদের চিনিই না। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’
এই অবস্থান বিক্ষোভে সুবিচার চেয়ে স্লোগান তুলে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য দফতরকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি চলছে জোরকদমে। তার মধ্যেই আজ, শনিবার স🐎্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আমার পোস্ট বড় কথা নয়। মানুষের পোস্ট বড় কথা। আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে যেন ফাঁসির অর্ডার দেওয়া হয়। আজ ৩৩–৩৪ দিন আমি রাতের পর রাত ঘুমাইনি। কারণ আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন তখন আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়। আপনারা যদি কাজে ফিরতে চান তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব। আপনারা দয়া করে কাজে যোগদান করুন। আমি আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনাস্থল জুড়ে বসল ১৪টি সিসি ক্যামেরা, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তায়
পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধরনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তౠা, ‘সিবিআইকে অনুরোধ করব, দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। দোষীদের ফাঁসি হোক। কেউ দোষী থাকলে আমি নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। এটুকু বলতেই আমি এসেছি। আপনারা আমাদের ঘরের ভাই–বোন। আমি কোনও অবিচার হতে দেব না। সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমি🍷তি নতুন করে তৈরি করা হবে। এখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এখানে আসিনি। আন্দোলনের সমব্যথী হিসাবে এসেছি। আপনাদের বড় দিদি হয়ে এসেছি। আমাকে সময় দিন। ভাল থাকুন। আপনাদের কাছে আসা মানে নিজেকে ছোট করা নয়। বড় করা। এটা আমার শেষ চেষ্টা।’