সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে চিকিৎসকদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। এই আবহে দিল্লির এইমস-এ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি দেশেও আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সেই পথেই হাঁটছেন। তবে বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা অনড় নিজেদের অবস্থানে। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলবে। আরজি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি তরুণী ট্রেনি চিকিৎসকের খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করলে তবেই কর্মবিরতি উঠবে। জানা গিয়েছে, আজ সিবিআই দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইবেন চিকিৎসকরা। এরপরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: আরজি ꦰকর ইস্যুতে ২ স্কুলের মꦯিছিলে 'না' পুলিশের, চিঠি সুপ্রিম ও হাই কোর্টে)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামা পড়ুয়া-শিক্ষ꧒কদের 'বাধা', আঙুল TMC-র দিকে
এর আগে গতকাল শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন চিকিৎসকদের তরফ থেকে আইনজীবী অভিযোগ করেন, এখনও আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের আইনজীবী শীꦑর্ষ আদালতে বলেন, 'হাসপাতালে এখনও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।' এই আবহে প্রধান বিচারপতি হুমকি জানতে চান, কারা হুমকি দিচ্ছেন। এই আবহে আজ চিকিৎসকদের অভয় প্রদান করেন প্রধান বিচারপতি।☂ এদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যাতে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না করা হয়, সেই বিষয়টির উপর নজর রাখা হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'ধর্মঘটে থাকা স🐈ব চিকিৎসকের যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে🍃।' শীর্ষ আদলতের তরফ থেকে বলা হয়, 'চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা তাঁদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন রয়েছি।' গতকাল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমার পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ থাকাকালীন আমি হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েছিলাম। সেই সময় আমি চিকিৎসকদের অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। কোন পরিস্থিতির মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজ করতে হয়, তা দেখেছিলাম। চিকিৎসকরা ৩৬ ঘণ্টার উপর কাজ করেন।'