কলকাতার বুকে বরাবরই চিনা মাঞ্জা একটা মাথাব্যথার কারণ। এই চিনা মাঞ্জার দৌলতে বারবার পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। এমনকী প্রাণ গিয়েছে মোটরবাইক আরোহীর। এবার এই চিনা মাঞ্জার জেরে রক্তাক্ত হলেন এক পুলিশ অ🐼ফিসার। পুলিশ অফিসারের রক্তে ভাসল রাজপথও। আজ, 💎রবিবার মা উড়ালপুলে যাওয়ার সময় রক্তাক্ত হলেন পুলিশ অফিসার। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শহরে। ওই পুলিশ অফিসারের মাথায় আঘাত লেগেছে বলে খবর। এই ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, চিনা মাঞ্জায় আক্রান্ত পুলিশ অফিসারের নাম শাহনওয়াজ আলি। তিনি বিধাননগর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব–ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত রয়েছেন। আর তিনিই আজ চিনা মাঞ൲্জার শিকার হয়েছেন। আজ বিকেলে মোটরবাইক চালিয়ে পার্ক সার্কাস থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিলেন শাহনওয়াজ আলি। পিছনে তাঁর আরোহী ছিলেন। উড়ালপুল দিয়ে তিনি যখন আসছিলেন তখন ঘুড়ির সুতো চিনা মাঞ্জা তাঁর কপালে লেগে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কেটে গলগল করে রক্ত রাস্তায় পড়তে থ🌸াকে। এমন অবস্থাতেও মোটরবাইক উড়ালপুলের ধারে রাখেন। তখনই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে জখম সার্জেন্টের দুয়ারে নগরপাল মনোজ ভার্মা, আধঘণ্টা দু’জনের কথা
সদ্য বিশ্বকর্মা পুজো গিয়েছে। তাই শহরে উড়েছে ঘুড়ি। ব্যবহার হয়েছে দেদার চিনা মাঞ্জা। তারই কিছু অংশ কোথাও লেগে ছিল। যা পুলিশ অফিসার শাহনওয়াজ আলির কপালে জড়িয়ে যায়। ফিনক🅰ি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে কপাল দিয়ে। সেই রক্তে ভিজে যায় পুলিশের পোশাকও। প্রবল যন্ত্রণা করতে থাকে ওই পুলিশ অফিসারের। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বকর্মা পুজো মিটে গেলেও পরের কয়েক সপ্তাহ রেশ থেকে গিয়েছে। তার জেরেই আজ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আকাশে অনেক ঘুড়ি ওড়ে। সেই ঘু🌸ড়ি কাটাকাটির ফলে সুতো নানা জায়গায় আটকে থাকে। চিনা মাঞ্জার সুতো সহজে চোখে দেখা যায়। না। ফলে মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠে।
এই নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জা বিক্রি বন্ধ করার নানা তোড়জোড় করা হলেও এখনও ঠেকানো যায়নি। শহরের নানা জায়গায় ঘুড়ির বাজারে নজরদারির কথাཧ আগেই বলেছিল প্রশাসন। কিন্তু তারপরও চলেছে দেদার বিক্রি। যার খেসারত এখন দিচ্ছেন ওই পুলিশ অফিসার। আগেও কলকাতা শহরের নানা রাস্তায় বিশেষ করে উড়ালপুলগুলিতে এই বিপজ্জনক চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার অনেক ঘটনা ঘট𝕴েছে। উড়ালপুলে তারের জাল লাগিয়েও চিনা মাঞ্জা ঠেকানো যায়নি। আর নজরদারির ফাঁক গলে চিনা মাঞ্জায় এখনও একের পর এক দুর্ঘটনায় পড়ছেন মোটরবাইক চালকরা।