হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির সামগ্রিক ব্যবহারে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভূষণ আর গভাই সোমবার লক্ষ্য করেন যে হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি মাত্র এক ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তাঁদের সাধারণত ৬ ঘণ্টা 🐷বিচারবিভাগ সংক্রান্ত কাজ করার কথা। কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী কয়েকজন এমন একটা ভাব দেখান যে তারা যেকোনও সময় সরকারি অফিসারদের সমন করতে পারেন।
কলকাতার ন্যাশানাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে ইস্টার্ন জোন জুডিশিয়াল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময় বিচারপতি আর গভাই বলেন, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি রয়েছেন যাঁরা সঠিক সময়ে বিচার করতে বসেন না। কিছু ক্ষেত্রে এটা খুবই অবাক করা যে ১০.৩০ এ আদালতে তাঁদের বসে যাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা বসেন ১১.৩০ মিনিটে। এরপর ১২.৩০ মিনিটে চল𝔍ে যান। কিন্তু তাঁদের ১টা ৩০ পর্যন্ত থাকার কথা। এমনকী দ্বিতীয় পর্বে তাঁরা আর থাকেনই না। এমনকী তাঁরা কীভাবে আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন সেই সংক্রান্ত খবরও মিলছে। বিচারপতি গভাই এসসি কলেজিয়ামের অন্তর্গত। সেই বিচারপতিই হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভূমিকা নিয়ে বꦅড় প্রশ্ন তুলে দিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, আইনজীবীরা যে সম্মান পাওয়ার যোগ্য 🎐সেটাও তাঁরা কিছু ক্ষেত্রে পান না বিচারপতিদের কাছ থেকে। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে বিচারপতি ও আইনজীবীরা তাঁরা উভয়েই এই বিচারব্যবস্থার অঙ্গ। এর মধ্যে কেউ উপরে, কেউ নীচে এমন ব্যাপারটা নেই। আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এই বিচার ব্যবস্থার মর্যাদাকে উন্নত করা যায় এমনটা নয়💖। এটা আসলে এই বিচার ব্যবস্থাকে আরও কালিমালিপ্ত করে।
সেই সঙ্গেই সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সমন জারি করার ধরন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, তাঁদের এটা বুঝতཧে হবে যে সর💃কারি আধিকারিকদেরও ডিউটি পালন করতে হয়। তবে তাঁরা যদি একেবারে বেপরোয়া ভাব দেখান সেটা আলাদা কথা। তা না হলে তাঁদের প্রতি এই ধরনের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো।
এমনকী তিনি হাইকোর্টের বিচারপতিদের সতর্ক করে দেন তাঁরা যেন যে ধরনের রায় রয়েছে তার বিপরীতে গিয়ে এমন কিছু না করেন য🤡েটা বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলাকে নষ্ট করে দেয়।
প্রসঙ্গত এবার হাইকোর্টের বিচারপতিদেরই স𒊎তর্ক করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। তাঁদের কাজের ধরন, ব্যবহার নিয়েও বিরাট প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।