দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি। রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়ি। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর রোডের সিগন্যালে। যদিও দুর্ঘটনার সময় গাড়িত🧸ে ছিলেন না শতরূপ ঘোষ। তবে সেই সময় গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের অন্য একজন সদস্য। এই ঘটনা জেরে কেউ আঘাত পাননি। দুর্ঘটনায় শতরূপ ঘোষের গাড়ির সামনের দিকের অংশটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, দুর্ঘটনার পরে অপর গাড়ির যাত্রীরা শতরূপ ঘোষের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে শতরূপ ঘোষের পরিবারের সদস্যরা আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আলিপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শতরূপ ঘোষের গাড়♓িটি সিগন্যালে দাঁড়🅷িয়েছিল। সেই সময় টার্নিং পয়েন্টে অন্য একটি গাড়ি শতরূপ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনাღর পরেই শতরূপ ঘোষের স্ত্রী গাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেন। তখন ওই গাড়ির চালক শতরূপের স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি শতরূপের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল সেই গাড়িটি আইপিএস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের গাড়ি। এই ঘটনার পরেই সরব হয়েছেন শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পথে চলতে গেলে এরকম ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক চালকেরই ভুল হয়ে যায়। তবে আইপিএসদের গাড়ি বলে এমন ব্যবহার﷽ কেন করা হল?' এমনই প্রশ্ন তুলেছেন শতরূপ।
পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘মুখ🔯্যমন্ত্রীর গাড়িতে সামান্য ধাক্কা লাগলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে তত্ত্ব সামনে আসে। তবে আমি এই ধরনের কোনও অভিযোগ করছি না। আইপিএসদের গাড়ি বলে কেন মানুষকে হেনাস্তা করা হবে?’ তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, আইপিএসদের গাড়ি বলে তাদের সঙ্গে যেন♔ আলাদাভাবে ব্যবস্থা না করা হয়। পুলিশ যেন আইন মেনে কাজ করে। শতরূপ ঘোষ জানান, ওই গাড়িতে তাঁর পরিবারের সদস্য ও চালক-সহ মোট তিনজন ছিলেন। কারও সেরকমভাবে আঘাত লাগেনি। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।