গার্ডেনরিচে নির্মিয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনাকে ‘টিএমসি মেড ডিজ𝕴াস্টার’ (তৃণমূলের দ্বারা তৈরি বিপর্যয়) বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনায় এখনও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ ও আহতদের ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়র 🎃ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে শামস ইকবালের একাধিক ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘কলকাতার বিশাল এলাকায় বহু মানুষ এরকম ঘাড়ে ওপর বিপদ নিয়ে বসে আছে। ২০১০ সালে সিপিএমের হাত থেকে কলকাতা পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়ার পর পুর এলাকায় অন্তত ৫০০০ পুকুর ভরাট হয়েছে। কিন্তু তাদের কোনও আইনি ঝামেলার মুখে পড়তে হয়নি। বড় তৃণমূল নেতাদেꦬর নেতৃত্বে স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রোমটার ও পুলিশের আঁতাত না থাকলে এটা সম্ভব নয়। বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের পর সেখানে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র গার্ডেনরিচ এলাকাতেই এরকম ৬০০ বহুতল রয়েছে। যা কি না কলকাতার মেয়র ফিরদার হাকিমের ঘাঁটি বলে পরিচিত। তিনি উদাসীন থাকতে পারেন? একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হলেও তিনি কিছুই জানতেন না, এটা ক🐼ি সম্ভব? উল্টে উদ্ধারকাজের সময় তিনি নিজেকে ত্রাতা বলে প্রচার করতে নেমেছেন’?
আরও পড়ুন: মশাগ্রামকে 🌞বর্ধমান কর্💜ডলাইনের সঙ্গে জোড়ার কাজ শেষ পথে, দ্রুত চালু হবে রেললাইন
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের গ্রেফতারি দাবি করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘স্থানীয় কান্সিলর শামস ইকবাღল ও ওই বহুতলের প্রোমোটারকে এখুনি গ্রেফতার করা উচিত। গত পুরসভা ভোটে শামস ইকবাল ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৮.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। যা সমস্ত কাউন্সিলরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তিনিই বেআইনি নির্মাণের অবিসংবাদিত সম্রাট। কলকাতা পুরসভায় লাল রংয়ের অ্যাস্টন মার্টিন গাড়ি চালিয়ে এসে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ভ﷽েঙে পড়া বহুতলের নীচে যারা চাপা পড়ে রয়েছেন তাদের জীবনের মূল্যে শামস ইকবালের এই ঝলমলে জীবনযাত্রা। সম্প্রতি তিনি একটি বেন্টলি গাড়ি কিনেছেন। যার দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। একজন কাউন্সিলর কী করে এত টাকা উপার্জন করতে পারেন একথা ভেবে অনেকেই অবাক হবেন’।
নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে শুভেন্দুবাবু লেখেন, ‘তৃণমূলের দ্বারা তৈ♕রি এই বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ ও আꦜহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ খুবই কম। নিহতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ ও আহতদের ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি’।
আরও পড়ুন: সিএএ-তে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষার নিদান তথাগতর, 'নগ্ন প্রতিহিংসা…', সরব তৃণমূ🌟ল
এমনকী মেয়র ও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণারও বিরোধিতা করেছেন তি🧔নি। শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণার অধিকার আর রাজনৈতিক নেতাদের নেই। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করছেন। সরকারি আধিকারিকদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা উচিত ছিল। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গোচরে আনছি। আমি বর্তমানে দিল্লিতে আছি। যারা আটকে আছেন, তাঁদের দ্রুত ন꧙িরাপদে উদ্ধার করা হোক। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই’।