পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভাবিত নয় বিজেপি। তাদের পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৪টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন বিজেপি পেলেও পরে সেখান থেকে দুটি খসে পড়𝕴ে। বাবুল সুপ্রিয় এবং অর্জুন সিং এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেক্ষেত্রে ১৬টি সাংসদ বাংলা থেকে এখন বিজেপির। কিন্তু পর পর নির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখায় এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো কার্যত চ্যালেঞ্জের। এমনকী এই ১৬টি আসন ধরে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিজেপি। কারণ এমনই রিপোর্ট গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী পদক্ষেপ করছে বিজেপি? এই দুর্বল আসনগুলি শক্তিশালী করতে অন্যতম প্রধান দায়িত্বে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। বাংলার বঙ্গ বিজেপির ২৪টি ‘দুর্বল’ আসন শক্তিশালী করার দায়ভার তাঁদের হাতেই দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলে সূত্রের খবর। কারণ বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের মধ্যে এত গোষ্ঠীকোন্দল তাতে ভরসা করা য༺াচ্ছে না। তাছাড়া এখন আর মুকুল রায় নেই বিজেপির সঙ্গে। ফলে সব আসনের চরিত্র জানে না বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এসে প্রচার এবং নয়া প্রতিশ্রুতি–সহ রাজ্য সরকারের বদনাম করতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কারা আসছেন বাংলায় প্রচারে? লোকসভা আসনগুলি শক্তিশালী করতে ৬জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসছেন। তাঁরা হলেন— ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি, প্রতিমা ভৌমিক, পঙ্কজ চৌধুরী, সাধ্বী নির🐷ঞ্জন জ্যোতি এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই বাংলা ভাষার সঙ্গে অনেকটা পরিচিত। বাকি তিনজন শহরজুড়ে প্রচার এবং সংগঠন শক্তিশালী করার দায়িত্বে থাকবেন। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছে বিজেপি। তাতে বাংলায় আগের আসন ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই চিন্তায় 🅺পড়ে এই হাফ ডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।