উদ্ধার দুটি লেপার্ডের চামড়া। তার সঙ্গেই উদ্ধার হয়েছে একাধিক লেজের টুকরো। কলকাতার মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বনপ্রাণীর দেহাংশ। বিছানার চাদরের মধ্যে জড়ানো ছিল বন্যপ্রাণীর এই দেহাংশগুলি। ২৯এ ক্রিক লেন থেকে ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল সেল ওই বন্যপ্রাণীর দেহাংশুগুলি উদ্ধার করে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে ডাস্টবিনের মধ্যে কীভাবে চিতাবাঘের চামড়া এল? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা হয়তো কোনও চক্র চামড়া বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছিল। এরপর সেগুলি বিক্রি করতে না পেরে ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম এগুলিকে দেখতে পান। এরপর তাঁরা পুলিশ খবর দেন। পুলিশ গিয়ে চিতাবাঘের ছালগুলিতে বাজেয়াপ্ত করে। এরপর পুলিশ ও বনদফতর ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে চিতাবাঘের ছালগুলিতে বাজেয়াপ্ত করে সল্টলেকে বনদফতরের অফিসে নিয়ে আসা হয়। বনদফতর সূত্রে খবর, চামড়া দুটির মধ্যে একটি পূর্ণ বয়স্ক ও মাঝবয়সী লেপার্ডের চামড়া। তবে কারা এই ধরনের চামড়া পাচারের সঙ্গে যুক্ত তা বনদফতর ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে বিক্রির জন্য যে এগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছিল তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কে বা কারা এগুলি ফেলে গিয়েছে তা নিশ্চিত করতে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।