সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মর্গের দুটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেখানে দেখা গিয়েছে, মর্গে দেহ পরীক্ষার সব কাজই করছেন ডোমরাই। এরপর সেই ডোমের কাছ থেকে তথ্য় জেনে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন সিনিয়র চিকিৎক। আর সেই রিপোর্টের উপর ভরসা করে পরবর্তী অনেক কিছু হয়। কিন্তু এখ𓆉ানেই প্রশ💃্ন কীভাবে কেবলমাত্র ডোমের কাছ থেকে তথ্য় জেনে নিয়ে সিনিয়র চিকিৎসক দিনের পর দিন ধরে এসব করেন?
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে গোটা বিষয়টি জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল মর্গের মেঝেতে এক তরুণীর দেহ শোয়ানো রয়েছে। গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই ফাঁস ও দেহের বাইরের বিভিন্ন চিহ্ন পরীক্ষা করছেন দুজন যুবক।𓄧 অপর একজন তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য় লিখে নিচ্ছেন।
অপর একটি দৃশ্য়ে দেখা গিয়েছে, মর্গের অফিসে টেবিলের স🌞ামনে অ্যাপ্রন পরে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সামনে একজন যুবক দাঁড়িয়ে । তার হাতে চিরকুট। ময়না তদন্ত হওয়া মৃতের ওজন, মাথার কোথায় কী ধরনের আঘাত সেসব শুনে লিখে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। লেখা শেষ হ🌸তেই তিনি বেরিয়ে যান।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, যারা তরুণীর দেহ পরীক্ষা করছিলেন তারা হলেন পেশায় ডোম। আর যিনি চিরকুটে লিখে নিলেন তিনি হলেন হেড ডোম। অন্যদিকে সাদা অ্যাপ্রন পরা যাঁকে দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে তিনি হলেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক।
এখানেই প্রশ্ন, ডোমেরা কীভাবে দেহ পরীক্ষা করতে পারেন? এই পদ্ধতিতে ময়নাতদন্ত করা কতটা যুক্তি💯 সংগত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ চিকিৎসকরা না দেখেই কেবলমাত্র ডোমের কাছ ꦦথেকে সব শুনে যদি রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেন তাহলে তো গলদ থেকেই যেতে পারে! তার দায় কে নেবে?
এদিকে না🍌না সময় এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে পরিজনদের মধ্য়ে। তবে কি তার প𒉰েছনে রয়েছে এই ধরনের কারণ?
এদিকে ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে,𒆙 ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। একজন ডোম কি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা দেহের বাইরের ও ভেতরের 🏅আঘাত পরীক্ষা করতে পারেন? প্রথমে বিভাগীয় প্রধান বলেছিলেন, না, আমরা শিক্ষকরা বা পিজিটিরা ময়নাতদন্ত করি। ডোমেরা সহযোগিতা করেন। আমরা পরে দেখে নিই।
এদিকে ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল বিভাগীয় প্রধানকে। সেই প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, কীভাবে এই ভিডিয়ো আপনারা পেত𝐆ে পারেন? এই ভিডিয়ো কে তুলল, বাইরে এল কীভাবে? কে এক্তিয়ার দিল এই ছবি তোলার? আমি আর কোনও উত্তর দেব না।