স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধান করবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছে। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় প্রাথমিকভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পর্ষদ এবং কমিশনের হলফনামা থেকেই স্পষ্ট যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা আছে। যেহেতু দুটিই সংস্থা রাজ্যের, তাই প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সামন্তের বেঞ্চ জানায়, নথি বলছে, দুর্নীতি হয়েছে। তবে বিরল ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে রাজ্য প্রশাসনের সদর্থক ভূমিকা দেখা যায় না। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলে আছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং হাইকোর্টের একজন করে প্রতিনিধি। দু'মাসের মধ্যে পুরো বিষয়টা ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আগামিকালের মধ্যে কমিশনকে যাবতীয় সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল তৈরি করে দেয় কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছিল, বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল ২৫ জনকে। পরে আবারও ৫৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।