কলকাতায় একটু করোনাভাইরাসের দাপট কমলেও গোটা রাজ্যে দাপট অব্যাহত। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই দেশ জুড়ে লকডাউন নয়। এই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কখন পরীক্ষা করতে হবে, কাদের নিভৃতবাসে থাকতে হবে এবং কাদের হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন তা নিয়ে বার্তা রয়েছে এই নির্দেশিকায়।দু’দিন আগেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরীক্ষা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ অক্সিজেন মজুত রাখার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে এমন সকলেরই পরীক্ষা করানো জরুরি। আর কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? এখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়স এবং কঠিন রোগে আক্রান্তরা যদি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসে তাহলে তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করানো দরকার। এখানে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনশন, ফুসফুস–লিভার–কিডনির সমস্যা, স্থূলত্বজনিত সমস্যাকে ‘কঠিন’ রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিভৃতবাস নিয়ে নির্দেশিকা যা বলা হয়েছে তা মেনে যাঁরা বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।এই নির্দেশিকায় উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ যাঁদের রয়েছে তাঁদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে। মৃদু উপসর্গ—শুকনো কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর, ডায়ারিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ–গন্ধ হারানো। কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের নিভৃতবাস পর্বে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে। আর বিপজ্জনক লক্ষণ কোনগুলি? এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, টানা ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা এবং অস্থিরতার মতো উপসর্গ। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।