বাংলা থেকে সিম কার্ড তুলে তার নম্বর পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা এই কাজ করেছে সেই তথ্য আছে রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে। যে সিম কার্ডের নম্বর পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে সেখান থেকে করা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ বলে অভিযোগ। এমনই সব তথ্য হাতে পেয়েছেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। তবে শুধু বাংলা থেকে সিম কার্ড তোলা হয়েছে এমন নয়। গোটা দেশের নানা প্রান্ত থেকে সিম কার্ড তোলা হয়েছে। সেই নম্বর পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পারেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারাꦛ। সূত্রের খবর, এবার সেই সব নম্বরের সম্পর্কে বিস্ত💧ারিত তথ্য জানতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের তদন্তকারীরা। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ওই চিঠি দিয়ে তাতে জানতে চাওয়া হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ভারতীয় নম্বরগুলি ব্যবহার করে পাকিস্তানে কতগুলি হোয়াটসঅ্যাপ চালু আছে। কারণ এই ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলি থেকে কাজ হচ্ছে সেগুলির পরিষেবা বন্ধ করতেও বলা হচ্ছে বলে রাজ্য এসটিএফ সূত্রে খবর। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছ𒈔ুক এক রাজ্য পুলিশের কর্তা বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপগুলি চিহ্নিত করার কা𒊎জ চলছে। তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট নম্বরের আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজন। আর সেটা একমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছেই আছে।’
অন্যদিকে এই যাবতীয় সিম কার্ড তুলে তার নম্বর পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য এসটিএফ জানতে পেরেছে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। রাজ্য এসটিএফ কদিন আগেই মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি জেলার নানা জায়গায় তল্লাশি চালায়। আর মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। এসটিএফ গোয়েন্দাদের দাবি, এᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚই ৯ জন জাল নথি তৈরি করেছে। তারপর তার সাহায্যে কয়েক হাজার মোবাইল সিম কার্ড অ্যাক্টিভেট করেছে। আর মোটা টাকার বিনিময়ে সেই নম্বর পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে। পাকিস্তানে যারা ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেছে তাদের কাছে শনাক্তকরণের জন্য আসা ওটিপি সঙ্গে সঙ্গে পাচার করা হয়েছে। তাই এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় জোর দিতে নির্দেশ তৃ🌠ণমূলের, সিদ্ধান্ত কোর কমিটির বৈঠকে
এছাড়া রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, এই নম্বর পাচার চক্রটি ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। গ্রেফতার হওয়া মুর্শিদাবাদের মহম্মদ কামর🦩ুজ্জামান এবং দিলওয়ার হোসেন এই চক্রের মাথা হলেও চক্রের মূল চাঁই নয়াদিল্লির বাসিন্দা। এখন এই মূল চাঁইয়ের নাগাল পেতে চেষ্টা করা হ𓄧চ্ছে। গ্রেফতার হওয়া আর একজন বাংলার বাসিন্দা অভিজিৎ পোড়েলের ফোন থেকে পাকিস্তানের একাধিক নম্বর মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখতেই মারাত্মক সব তথ্য হাতে চলে এসেছে। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে এই দেশে এবং বাংলায় টাকা লেনদেন হতো। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই গোটা বিষয়টি মনিটরিং করছে। আর তারাই গোটা কাজটি করছে।