পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী রায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ (শনিবার - ১০ মে, ২০২৫) আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, যেহেতু সোহিনী নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী, তাই বিবাহ সূত্রে অনেক আগেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার সেই আবেদন মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত।
উল্লেখ্য, বিতান ভারতীয় হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন আমেরিকায়। সেখানেই তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও তাঁর সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি তাঁরা কলকাতায় ফেরেন এবং পহেলগাঁও বেড়াতে যান। সেখানে বিতানকে খুন করে জঙ্গিরা। পরবর্তীতে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সোহিনী।
কিন্তু, তাঁর নাগরিকত্ব এবং তাঁর সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক নিয়ে নানা জলঘোলা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিও হতে থাকে। বিতানের বাবা-মা দাবি করেন তাঁদের পুত্রবধূ আদতে বাংলাদেশি এবং পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি ভারতে থাকছেন। যদিও সোহিনীর পরিবার এই অভিযোগ শুরু থেকেই মানেনি।
অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে নিহত, বাংলার বাসিন্দাদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়, সেই টাকা ৫০:৫০ অনুপাতে বিতানের স্ত্রী ও তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে, বিতানের বাবার নামে মাসিক পেনশন ও মায়ের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়।
এই প্রেক্ষাপটেই এদিন সুকান্ত মজুমদার জানালেন, বিতানের স্ত্রীকে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে, গত কয়েকদিনের টানা সংঘাতের পর এদিনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি স্থাপিত হয়েছে।