সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কালীপুজোর আগে থেকে শহরে দেদার ফেটে চলেছে বাজি। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ীꦏ, শুধুমাত্র কালীপুজোর রাতেই ২ ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু, সে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি ফাটানো। বালিগঞ্জ, ইএম বাইপাস থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেদার বাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে তেমনি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সবুজ বাজির জন্য ক্ল🐓াস্টার তৈরির বিষয়টি। জানা গিয়েছে, বাজি ক্লাস্টার তৈরির জন্য জমি হস্তান্তরের কাজই এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
আরও পড়ুন: দানার দাপট-জটিলতায় দেরিতে শুরু হচ্ছে বাজার, আশঙ্ꦍক⛎া নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর বলেছিলেন, বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১ লক্ষের বেশি মানুষ। কাউকে যাতে কাজ হারাতে না হয় এবং সকলের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা যায় তার জন্য ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে। তবে জানা গিয়েছে, যে ৭ টি জায়গায় বাজি ক্লাস্টার তৈরি হওয়ার কথা সেগুলিতে এখনও পর্যন্ত জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, জমি হস্তান্তরের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এই প্রক্রিয়া শেষের দিকে। আবার বেশ কিছু জায়গায় জমি পাওয়া গিয়েছে। যেগুলিতে জমি পাওয়া গিয়েছে সেগুলিতে প্রাথমি💖ক কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিং জেলার ৭টি জায়গায় বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে প্রায় ৩৯ একর জমিতে। এই প্রতিটি জায়গার জন্য প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। যারমধ্যে মুর্শিদাবাদে প্রকল্প রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। তবে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হলেও কবে ক্লাস্টার তৈরির কাজ শু🍸রু হবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে নিষিদ্ধ বাজি আটকাতে গেলে শুধুমাত্র যে বাজি ক্লাস্টার করলেই হবে তা নয়, এর জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তাদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই সবুজ বাজির মোড়কে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করা হচ্ছে। তাই 🦋নিষিদ্ধ বাজি আটকাতে গেলে তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তবেই নিষিদ্ধ বাজি আটকানো যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।