রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। আর তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা শুভেন্দুকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়, তাহলে শুভেন্🉐দু নয় কেন? তাঁর বিরুদ্ধে তো সারদা, কাঁথি পুরসভায় আর্থিক তছরূপের একাধিক মামলা রয়েছে। শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান🧸্ডেলে একটি তালিকার পোস্টার পোস্ট করেন। সেখানে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উল্লেখ রয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? শুভেন্দু অধিকারী ইডির উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, রেশন দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও✅ ভূমিকা আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হোক। আর বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘এর পর হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং বিধানসভার অধিবেশন জেলের ভিতরে ডাকতে হবে।’ ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিꩲক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃতীয় মেয়াদে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদল করেন। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষকে খাদ্য দফতরের মন্ত্রী করেন। আর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বন দফতরের দায়িত্ব দেন।
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? শুভেন্দুর জবাবে পাল্টা এক্স হ্যান্ডলে ইডি–সিবিআইয়ের প্🌄রতি প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তারপর তিনি লিখলেন, ‘সবাই জানি আপনারই জেলে বসে থাকা উচিত ছিল। শুভেন্দু, আপনি আপনার দলের ওয়াশিং মেশিন রাজনীতির জন্য আজকে নিরাপদে আছেন। খাঁচার কুকুর ইডি–সিবিআইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী নেতাদের উপর। বিজেপি প্রমাণ করে দিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। না হলে আমরা সবাই জানি, আপনারও জেলে বসে থাকা উচিত ছিল। তা হলে আর এসব মিম পোস্ট করতে পারতেন না। অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক।’ আর সারদা কর্তার চিঠি যা সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল সেটা পোস্ট করে কুণালের প্রশ্ন, ‘এই বেলা আপনারা নীরব কেন?’
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে পড়লেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এজ🎐লাসেই করলেন বমি, অবশেষে ইডি হেফাজত
আর কী করলেন কুণাল? এদিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিজেপি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে ইডিকে দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করিয়েছে। মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে এই কাজ। বিজেপি দেখতে পাচ্ছে, বাংলায় জমি ক্রমশ হারাচ্ছে। গতকালও কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আজ এখানে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল। সামনে লক্ষ্মীপুজো। এখন বিজেপি আবারও এজেন্সি পলিটিক্স শুরু করল। রেশনে খারাপ জিনিস দেওয়া হয়েছে, এমন কখনও কোনও অভিযোগ উঠেছে? বিনামূল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সবাইকে রেশন দেন। সেই রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো সিনিয়র নেতাকে গ্রܫেফতার করা হল। অথচ সারদা কাণ্ডের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কি দেখতে পাচ্ছে না ইডি–সিবিআই?’