এই বছরের দুর্গাপুজোয় সংবাদ শিরোনামে বুর্জ খলিফা উঠে এসেছে। শুধু সংবাদে নয়, বিতর্কে এবং চর্চায় সব প্রথমসারির মন্ত্রীকে পিছনে ফেলেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত। তবে প্রথমসারির পাঁচ মন্ত্রীর পুজো এবার তুলনা করলে এগিয়ে থাকছেন সুজিত বসুই।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় সিনিয়র এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নাম সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর পুজোর নাম ‘একডালিয়া এভারগ্রিন’। এখানে থিম নেই। তবে ভিড় টানে এই পুজো। জাঁকজমক আর আলোকসজ্জাই দর্শনার্থীদের আকর্ষণের বিষয়। এবারও সাবেকি প্রতিমার সঙ্গে রাজকীয় ঝাড়বাতিই এখানে স্থান পেয়েছে। ভিড় হচ্ছে। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ‘চেতলা অগ্রণী’র পুজোর উদ্যোক্তা বলেই পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেবীর চক্ষুদান করেছেন। এখানেও আকর্ষণের বিষয় মণ্ডপ। থিম— ‘অনুসরণ’। খুবই খোলামেলা মণ্ডপ করা হয়েছে। আলোকসজ্জাও রয়েছে জমকালো। পাশেই ক্লাব। এখানে চারদিন ভালো খাওয়া– দাওয়া হয়।নিউ আলিপুরের ‘সুরুচি সংঘ বরাবরই ভিড় টানে। কারণ এখানের থিম প্রত্যেকবার নয়া আঙ্গিকের নজির রাখে। এই পুজো রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বলেই সবাই জানে। এবারের বিষয় ‘আবদার’। করোনাভাইরাসের জেরে গৃহবন্দি শিশুদের মনের কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। আবদার করে বাড়ির বাইরে বেরোনোর বার্তা এখানে স্পষ্ট।এরপরই আসে ‘নাকতলা উদয়ন সংঘ’–এর নাম। এই পুজো মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই পরিচিত। থিম– তালিবানি তাণ্ডবে রক্তাক্ত আফগানিস্তান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘চল্ চিত্র’। নিজের দেশ ছেড়ে ভিন্দেশে পাড়ি দেওয়া মানুষদের ছবিই তুলে ধরা হয়েছে। এখানেও সকাল–বিকেল মানুষের আগমন লেগেই আছে। সবুজ আলো এখানে স্থান পেয়েছে। কিন্তু চর্চার হচ্ছে ‘শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব’–এর পুজো নিয়ে। এটা মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো হিসেবেই পরিচিত ‘শ্রীভূমি’। এবারের থিম ‘বুর্জ খলিফা’। তার আদলেই তৈরি হয়েছে পুজোমণ্ডপ। সুউচ্চ এই মণ্ডপের স্পটলাইটে বিমান অবতরণে অসুবিধা হচ্ছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভিড়ে করোনাভাইরাস–বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও খবর। এমনকী প্রতিমার গায়ে ৪৫ কেজি সোনার গয়না থাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পুজোমণ্ডপ ঘিরে রেখেছে। তাই শহর থেকে জেলার মানুষের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একবার ‘বুর্জ খলিফা’ দেখতেই হবে। যা সব মন্ত্রীকে টেক্কা দিয়েছে পুজোর প্রেক্ষিতে।